তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। কিন্তু করোনার ভয় ও ব্যক্তিগত কারণে দলের সঙ্গে আসেননি প্রথম সারির ১২ জন খেলোয়াড়।
তাতে প্রশ্ন উঠেছে ক্যারিবীয় দলের সামর্থ্য নিয়ে। ওয়ানডে দলে অনভিজ্ঞদের ছড়াছড়ি থাকলেও, টেস্ট দলে আছেন কিমার রোচ, শ্যানন গেব্রিয়েল, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটদের মত অভিজ্ঞরা।
রোচের জন্য এমন পরিস্থিতি অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তার অভিষেক হয় একই রকম পরিস্থিতিতে।
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বোর্ডের সঙ্গে বিতণ্ডায় এক ঝাঁক তরুণকে নিয়ে দল সাজাতে হয়েছিল উইন্ডিজকে। সেবারই টেস্ট অভিষেক হয় রোচের।
এবার বাংলাদেশে রোচের আসা নতুন বাস্তবতায়। করোনাভাইরাস প্রকোপে থাকতে হচ্ছে বায়ো বাবলে। এসেই তারা করেছেন তিন দিনের কোয়ারেন্টিন। বুধবার তারা শুরু করেছেন অনুশীলন।
বাংলাদেশের উইকেটে সাধারণত স্পিনারদেরকেই সহায়তা করে। পেসার হয়ে বাংলাদেশে ভালো করার জন্য রোচ তাই পরিকল্পনা করছেন আক্রমণের।
‘আমি মনে করি মাঠে বেশ আক্রমণাত্মক থাকতে হবে। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের উপর চড়াও হতে হবে। পিচে খুব বেশি বাউন্স থাকবেনা। মাঠে পরিকল্পনাটা ঠিকঠাক করতে হবে এবং সেটার প্রয়োগও। আপনাকে এসব ক্ষেত্রে গতির সংমিশ্রণ করতে হবে। সবচেয়ে সহজ বিষয় হল ভালো জায়গায় টানা বল করে যেতে হবে যতটা সম্ভব’, বলেন এই পেইসার।
রোচের বিশ্বাস, নিজের পরিকল্পনায় সফল হলে দল লাভবান হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় পেসারদের জন্য কঠিন। তবে আমি যদি পরিকল্পনা ঠিকঠাক প্রয়োগ করতে পারি দলের জয়ে অবদান রাখতে পারবো।’
তবে রোচ মানছেন, সিরিজে ভালো করতে হলে প্রয়োজন দলগত পরিশ্রমের।
‘বোলিং ইউনিটের সাফল্যের জন্য টিম ওয়ার্ক করতে হবে। আর সেরকমটা হলেই আমাদের বোলিং ইউনিট ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। ভালো পরিকল্পনা করছি। বোলিং কোচের সাথে কথা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যেও আলাপ আলোচনা করছি। আমরা জানি কি করতে হবে।’, বলেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
২০ জানুয়ারি থেকে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হলেও রোচকে মাঠে নামতে অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত। চট্টগ্রামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পর ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্টে মাঠে নামবেন রোচ-গেব্রিয়েলরা।