ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে দুই দলে ভাগ হয়ে বিকেএসপিতে একটি ৪০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে তামিম একাদশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে মাহমুদুল্লাহ একাদশ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬১ রানে গুঁটিয়ে যায় তামিম একাদশ। জবাবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ফিফটির ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাহমুদুল্লাহ একাদশ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের জুটি টেকে মাত্র চার ওভার। আল-আমিন হোসেনের বলে শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র দুই রানে ফেরেন লিটন।
তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৪০ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় এড়ালেও তাতে বেশি লাভ হয়নি তাদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রানের গতি বাড়ানো হয়নি তামিমদের।
আফিফ হোসেনের ৩২ বলে ৩৫ রানের ইনিংসের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত ১৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তামিম একাদশ। তামিম, শান্ত ও সৌম্য সরকার যথাক্রমে ২৮, ২৭ ও ২৪ রান করেন।
হাসানের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ও আল-আমিন। একটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
জবাবে মাহমুদুল্লাহ একাদশের ওপেনার ইয়াসির আলি রাব্বিকে মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান মাত্র তিন রানে। রান আউটে কাটা পড়ে সাকিব আল হাসানও ফিরে যান মাত্র নয় রানে।
কিন্তু নাইম শেখের ৪৩, মুশফিকুর রহিমের ২৮ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ১৯ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় পায় তারা।
তামিম একাদশের হয়ে একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুস্তাফিজ, নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান।
ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় মাহমুদুল্লাহ বলেন, তার মতে ভালো বোলিং করেছেন দুই দলের বোলাররাই।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। দুই টিমের বোলাররাই খুব ভালো বোলিং করেছে। উইকেটে প্রবাবলি ফার্স্টের দিকে কিছুটা মুভমেন্ট ছিল। সেকেন্ড হাফে পিচটা বেটার হয়েছে আমার মনে হয়। বাট ওভারল, গুড প্র্যাকটিস।’
যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে এই প্রস্তুতি ম্যাচ, তাতে জয়ের আশা করছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে। আমরা বেশ পজিটিভ এই সিরিজের ব্যাপারে। আই থিংক, উই উইল প্লে সাম গুড ক্রিকেট। আই হোপ আমরা সিরিজ জিতব।’
২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। বিকেএসপিতে সেই ম্যাচটি হবে ১৬ জানুয়ারি।