অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে খেলার সময় দর্শকের বর্ণবিদ্বেষি আচরণের শিকার হন ভারতীয় পেসার। এই নিয়ে ম্যাচে রেফারির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেছে সফরকারী দল। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে তারা বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান দর্শকের এমন আচরণ প্রথম নয় জানালেন স্পিনার রভিচন্দ্রন আশউইন। বিশেষ করে সিডনিতে এর আগেও ভারতীয় দল বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।‘এটা অস্ট্রেলিয়ায় আমার চতুর্থ সফর এবং সিডনিতে আগেও আমাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার মনে আছে এক-দুইবার খেলোয়াড়েরাও এতে জড়িয়ে যান এবং সমস্যায় পড়েন। তবে সেটা তাদের দোষ ছিল না। দর্শক, বিশেষ করে বাউন্ডারির কাছে যারা বসেন তারা যেভাবে কথা বলেন সেটার জন্য ঝামেলা হয়’, ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন আশউইন।ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান ভিরাট কোহলি ২০১১-১২ সালের সফরে সিডনিতে দর্শকদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে শাস্তি পান। দর্শকদের আচরণের প্রতি আঙ্গুল তুলে আশউইন বলেন, ‘তারা খুবই নোংরা আচরণ করে। গালিগালাজ করেছ। আর এবারে তো তারা একধাপ এগিয়ে বর্ণবিদ্বেষি মন্তব্য করেছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে আইসিসির জিরো টলারেন্স পলিসির সঙ্গে একমত আশউইন। মাঠে এমন আচরণ বন্ধ দর্শকদের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের সচেতন হওয়ার আহ্বান এই অভিজ্ঞ স্পিনারের।‘এই সময় ও যুগে এটা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অনেক কিছুই দেখেছি। সমাজ হিসেবে আমরা বিবর্তিত হয়েছি। এই সমস্যা খুব কড়া ভাবে সামাল দিতে হবে। এই ধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই বিষয়ে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে,’ যোগ করেন আশউইন।
সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা চলার সময়ে গ্যালারির র্যান্ডউইক এন্ড স্ট্যান্ড থেকে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ করে ভারত। যার ব্যবস্থা নেয়া হয় চতুর্থ দিনে। অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের ৮৭তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজ আম্পায়ার পল রাইফেলের কাছে এসে পুনরায় অভিযোগ জানান, বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হয়েছেন তিনি।
খেলা বন্ধ রেখে দুই আম্পায়ার বর্ণবাদী মন্তব্যকারীদের চিহ্নিত করার জন্য র্যান্ডউইক এন্ডে যান। খেলা মিনিট দশেকের জন্য বন্ধ রাখা হয় এবং মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা এসে বর্ণবাদী মন্তব্যকারী ছয় জন দর্শককে চিহ্নিত করেন।
সেই ছয় জনকে মাঠ থেকে বের করে দেয়ার পর নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।