মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত৷ এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল সফরকারী দল। অ্যাডেলেইডের বিভীষিকা পেছনে ফেলে এমসিজিতে ভারত প্রয়োজনীয় ৭০ রান তুলে নেয় ১৫.৫ ওভারে।
দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন ৬ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ক্যামেরন গ্রিনের ৪৫ ও শেষদিকে মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজলউডের ব্যাটে ২০০ রান ছুঁয়ে ফেলে অজিরা। গ্রিন ৪৫, স্টার্ক ১৪ আর হেইজলউড ১০ রান করেন। ঠিক ২০০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাদের লিড দাঁড়ায় ৬৯ রানের।
২০০ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৮ সালে এমসিজিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের পর এই প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট ইনিংস শেষ হলো হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া।১০৩.১ ওভার লেগেছে অস্ট্রেলিয়ার ২০০ রান করতে যা ১৯৮৬ সালের পর সবচেয়ে ধীরগতির। পুরো অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১০টি। এর আগে এত কম বাউন্ডারি আসে ৮৮ সালের এমসিজির ওই টেস্ট ম্যাচে।ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ১৬ রানে মায়াঙ্ক আগারওয়াল কট বিহাইন্ড হন মিচেল স্টার্কের বলে। ৫ রান আসে ভারতীয় ওপেনারের ব্যাট থেকে।
এর পাঁচ বল পরই ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা। ৩ রান করে কামিন্সের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ধরা পড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ভারতের রান তখন ১৯।
দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে নড়েচড়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। তবে, তৃতীয় উইকেটে দলকে ঝুঁকিমুক্ত রাখেন আজিঙ্কা রাহানে ও শুভমান গিল। এই দুইজনের ব্যাটে অ্যাডেলেইড টেস্টের মতো বিপর্যয়ে এড়ায় ভারত।
গিল ও রাহানে অবিচ্ছিন্ন থেকে জয় পাইয়ে দেন ভারতকে। গিল অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। আর অধিনায়ক রাহানের ব্যাট থেকে আসে ২৭।
এমসিজিতে টেস্ট জয়ের ফলে ২০২০ সাল জয়শূন্য অবস্থায় শেষ করতে হচ্ছে না ভারতকে। নিউজিল্যান্ডের কাছে দুটি ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম টেস্ট হারের পর জয়ের দেখা পেল ভারত।
প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রাহানে।
মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। লিড দাঁড়ায় ১৩১।
৭ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হচ্ছে দুই দলের তৃতীয় টেস্ট।