‘৩৬’ পিছু ছাড়ছে না ভারতের। অ্যাডেলেইডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিন শেষেও কাকতালীয় ভাবে সফরকারী দলের সংগ্রহ ৩৬। তবে, এবারে এক উইকেটে।
অ্যাডেলেইড টেস্টের পর অনেক ঝড়-ঝাপ্টা গেছে ভারতীয় দলের ওপর। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় সবাই ভুলে যেতে বসেছিলেন সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী বোলারদের নৈপূণ্য।মেলবোর্নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আশউইন-বুমরাহরা। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টে বোলাররাই ম্যাচে এগিয়ে রাখলেন ভারতকে।বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৫ রানে অলআউট করে দিন শেষে ১৫৯ রানে পিছিয়ে আছে তারা। দিন শেষে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৬। ৭ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। তার সঙ্গী অভিষিক্ত শুভমান গিল খেলছিলেন ২৮ রানে।মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক টিম পেইন। ব্যাট করতে নেমে উপস্থিত ২৭ হাজার দর্শকের সামনে শুরুটা ভাল হয়নি স্বাগতিক দলের।দলীয় ১০ রানে তারা হারায় ওপেনার জো বার্নসকে। শূন্য রানে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে আউট হন তিনি। সস্তায় ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর ছোট কয়েকটি জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় বোলারদের তোপে জুটি বড় হয়নি।ম্যাথিউ ওয়েড ও মারনাস ল্যাবুশেইন ২৫ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। ৩০ রান করা ওয়েডকে ফেরান রভিচন্দ্রন আশউইন। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথকেও তুলে নেন এই অফস্পিনার। স্মিথকে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ‘ডাক’ উপহার দেন আশউইন। আট বল টিকে থাকার পরও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই তারকা ব্যাটসম্যান।সিনিয়র পার্টনারকে হারানোর পর, ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখেন ল্যাবুশেইন। ৮৬ রান আসে তাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে। হেডকে ৩৮ রানে বিদায় করে জুটি ভাঙেন বুমরাহ।ল্যাবুশেইন অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকার পরও নিজের ফিফটি পূরণ করতে পারেননি। ৪৮ রান করে অভিষিক্ত মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম টেস্ট উইকেটে পরিণত হন তিনি।আগের টেস্টে অভিষেক হওয়া ক্যামেরন গ্রিনকেও ফেরান এই পেসার। ১২ রান আসে গ্রিনের ব্যাট থেকে। এক রান বেশি করা পেইনকে আউট করেন আশউইন।ভারতীয় বোলারদের প্রতিহত করতে পারেননি কোনো অজি ব্যাটসম্যানই। শেষ দিকে নেইথান লায়নের ২০ রানের ক্যামিওতে দুইশর কাছাকাছি যায় স্বাগতিকদের স্কোর। ভারতের হয়ে বুমরাহ ৫৬ রানে চারটি এবং আশউইন ৩৫ রানে তিন উইকেট নেন।