বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলে গেলেন ‘ভয়ডরহীন’ এডরিচ

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:২৯

৬০ ও ৮০ এর দশকে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন এডরিচ। তার ১২ টেস্ট সেঞ্চুরির ৭টিই এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

সাবেক ইংলিশ টেস্ট ক্রিকেটার জন এডরিচ আর নেই। ৮৩ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার রাতে স্কটল্যান্ডে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। তার কাউন্টি ক্লাব সারে শুক্রবার এক টুইটে নিশ্চিত করে তাদের সাবেক অধিনায়কের মৃত্যুর খবর। ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৭ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। ১২টি সেঞ্চুরি আছে তার।

এডরিচ লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন ২০০০ সাল থেকে। ডাক্তাররা তাকে সাত বছর সময় দিলেও, তিনি মারা গেলেন রোগ ধরা পড়ার দুই দশক পর।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এক বিবর্তিতে জানায় এডরিচের চলে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে ইংলিশ ক্রিকেট হারাল এক ‘ভয়ডরহীন’ এক ব্যাটসম্যানকে। ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে তার লড়াইগুলো কিংবদন্তি হয়ে আছে। ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর ৩১০, যেটি তিনি করেন ১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, তার সামর্থ্যের পরিচয় দেয়।’

১৯৬৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় এডরিচের। ১৯৭৬ সালে খেলেন নিজের সবশেষ টেস্ট।

নিজের সবশেষ টেস্ট ইনিংসে ওপেনিং পার্টনার ব্রায়ান ক্লোসের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঠেকিয়ে রেখেছিলেন উইন্ডিজের ভয়ঙ্কর পেইস ত্রয়ী অ্যান্ডি রবার্টস-মাইকেল হোল্ডিং ও ওয়েইন ড্যানিয়েলসকে। ক্লোসের বয়স তখন ৪৫ আর এডরিচের ৩৯।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেইস দানবদের বিপক্ষে ওই লড়াইয়ের চেয়ে অবশ্য আরও একটি বিখ্যাত ইনিংস আছে তার। ১৯৬৫ সালে হেডিংলিতে ক্যারিয়ার সেরা ৩১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

৫২টি চারের মার ছিল ইনিংসটিতে। যেটি এখনও এক টেস্ট ইনিংসে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড। ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরের বছর উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন এডরিচ।

সারে ক্লাবের কিংবদন্তি হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যান পাঁচ মৌসুম অধিনায়কত্ব করেন কাউন্টি ক্লাবটির। ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন মাত্র এক টেস্টে।

১৯৭৪-৭৫ অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক মাইক ডিনেসের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

সেই টেস্টে ডেনিস লিলির করা প্রথম বলে পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙ্গে যায় এডরিচের। তাকে যেতে হয় হাসপাতালে। অসম সাহসী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই ক্রিকেটার হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে আবারও লিলি ও জেফ টমসনকে মোকাবিলা করেন এবং অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে।

৬০ ও ৮০ এর দশকে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন এডরিচ। তার ১২ টেস্ট সেঞ্চুরির ৭টিই এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

১৯৭১ সালে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন এডরিচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচে প্রথম বাউন্ডারিও মেরেছেন তিনি।

টেস্ট পরিসংখ্যানের পাশে অবশ্য অনেকটা ম্লান তার ওয়ানডে রেকর্ড। ৭৭ টেস্টে ৪৩.৫৪ গড়ে ৫, ১৩৮ রান তার। ৭ ওয়ানডেতে করেছেন ২২৩ রান গড় ৩৭.১৬।

এ বিভাগের আরো খবর