আল-আমিন জুনিয়র বেক্সিমকো ঢাকার খলনায়ক হতে পারতেন। ফরচুন বরিশালের আফিফ হোসেনের রান ম্যাচে তখন ৪৬। তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ক্রিজের বাইরে যখন আফিফ, নাইম শেখের থ্রো তখন আল-আমিনের প্রায় হাতে।
আল-আমিন সেই বল ধরতে পারেননি। বেঁচে যান আফিফ। তাতে ক্ষতি হয়নি খুব একটা। আফিফ আউট হন ৫৫ রানে।
উত্তেজনার ছড়ানো ম্যাচে ঢাকা নয় রানের জয় তুলে নিয়ে পৌঁছেছে কোয়ালিফায়ারে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকাকে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠা বরিশালকে বিদায় নিতে হলো এলিমিনেটর থেকে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বির ফিফটির সাহায্যে ১৫০ রান তোলে ঢাকা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, শুরু থেকে ধুঁকতে থাকে বরিশাল।
পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৩৩ রান নিতে পারে তারা। হারায় সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেট।
পাওয়ার প্লে-র পর থেকে আফিফ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, অন্যপ্রান্তে কঠিন সময় পার করছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম যখন আউট হন, তার নামের পাশে ২৮ বলে মাত্র ২২ রান। তামিমের পর নামা তৌহিদ হৃদয়ও একই ধারা বজায় রাখলে, ১৫১ রানের লক্ষ্য পাহাড়সম হয়ে ওঠে বরিশালের জন্য।
নিজের ফিফটি তুলে নেন আফিফ। তার পরপরই শফিকুল ইসলামের বলে স্কুপ করতে গিয়ে আফিফ মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিলে, ম্লান হয়ে যায় বরিশালের জয়ের আশা।
শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও সুমন খানের ব্যাটে কিছু বাউন্ডারি আসলে তাতে শুধু হারের ব্যবধানই কমে বরিশালের। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৪১ রানে।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ২৪ রান তুলতেই ফিরে যান দুই ওপেনার নাইম শেখ ও সাব্বির রহমান, সঙ্গে আল-আমিন জুনিয়র।
নাইমকে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান মেহেদি হসান মিরাজ। এরপর তাসকিনের শিকার হয়ে ফিরে যান আল-আমিন। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে সোহরাওয়ার্দি শুভর বলে স্টাম ছত্রভঙ্গ হয় সাব্বিরের।
সেখান থেকে ৫০ রানের জুটি গড়ে তাদের উদ্ধার করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি রাব্বি। রান রেটে তখন পর্যন্ত বেশ পিছিয়ে ছিল ঢাকা। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে মুশফিক ফিরে গেলে, আবারও বিপদের আভাস পায় ঢাকা।
আকবর আলির সঙ্গে ইয়াসিরের ঝড়ো ১৯ বলে ৩৬ রানের জুটিতে রান রেট বাড়ায় তারা।
মিরাজের বলে আকবর ফিরে গেলে, ইয়াসির এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। নিজের ফিফটি তুলে নেন ৩৯ বলে। শেষ ওভারে যতক্ষণে বিদায় নেন, ততক্ষণে ঢাকা পৌছে গেছে ১৫০ রানের কাছাকাছি।
শেষ পর্যন্ত ঠিক ১৫০ রানে শেষ করে ঢাকা। ইয়াসির ও আকবরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ছয় ওভারে ঢাকা তুলে নেয় ৬৬ রান।
দুটি করে উইকেট শিকার করেন মিরাজ ও রাব্বি। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও শুভ।