জিতলে সরাসরি ফাইনালে। হারলে? সুযোগ থাকবে আরেকবার।
এমন সমীকরণ নিয়েই সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনা।
চট্টগ্রাম আছে রীতিমত উড়ন্ত ফর্মে। গ্রুপ পর্বের আট ম্যাচের মধ্যে তারা হেরেছে মাত্র একটিতে। বাকি সাত ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে তারা।
ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দারুণ ছন্দে আছেন চট্টগ্রামের খেলোয়াড়রা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক চট্টগ্রাম ওপেনার লিটন দাস। সাত ম্যাচে তিনি রান করেছেন ৩০৬। অন্য ওপেনার সৌম্য সরকারও আছেন ছন্দে। আট ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫৩ রান।
চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণের দুই কাণ্ডারি মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামও উইকেটের মধ্যেই আছেন। সাত ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় শীর্ষে দ্য ফিজ। ১২ উইকেট নিয়ে শরিফুল আছেন তালিকার ছয়ে।
তাদের প্রতিপক্ষ খুলনার টুর্নামেন্ট গেছে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর হারতে হয়ে টানা দুই ম্যাচ। তার পরে টানা তিন জয়। এরপর গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে আবার জুটেছে দুই হার।
খুলনার জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ সাকিব আল হাসানের ফর্ম। বল হাতে ভালো করলেও, ব্যাট হাতে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। আট ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র করেছেন ৮২ রান। সর্বোচ্চ ১৫।অন্য দুই অভিজ্ঞ সদস্য মাশোরাফি মোর্ত্তজা ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সময়টাও ভালো যায়নি।
বল হাতে পেসার হাসান মাহমুদের পারফরমেন্স দারুণ অনুপ্রেরণা খুলনার জন্য। তরুণ এই পেসার ডেথ ওভারে নিখুঁত ইয়র্কারে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখছেন। যা হতে পারে খুলনার জন্য স্বস্তির জায়গা।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কোন পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই চট্টগ্রামের। তবে আগের ম্যাচে না খেলা ইমরুল কায়েস ফিরবেন খুলনা একাদশে। তাতে দলের বাইরে যাবার সম্ভাবনা স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর।
সম্ভাব্য একাদশ
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), শামসুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, রকিবুল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম
জেমকন খুলনা: জাকির হাসান, জহুরুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), শামিম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শুভাগত হোম, মাশরাফি মোর্ত্তজা, হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম