বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাইমের সেঞ্চুরি, দুই রানের জয়ে প্লে-অফে বরিশাল

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৫৪

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ফরচুন বরিশাল ১৯৩/৩, ২০ ওভার (হৃদয় ৫১*, আফিফ ৫০*, আল-আমিন ১/৫, রুবেল ১/২৮); বেক্সিমকো ঢাকা ১৯১/৬, ২০ ওভার (নাইম ১০৫, ইয়াসির ৪১, শুভ ৩/১৩, রাব্বি ১/৪১)

পারভেজ হোসেন ইমনের এখন অবশ্যই মন খারাপ নেই। অথচ বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হারের কারণ হতে পারতেন তিনিই!

নাইম শেখ তখন ৪৯ রানে, কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মিড উইকেটে থাকা ইমনের কাছে। অথচ সহজ ক্যাচটাই ইমন ফেলে দেন। নতুন জীবন পেয়ে নাইম পরের ২২ বলে করেন ৫৬ রান। যখন ফিরলেন, নামের পাশে ৬৪ বলে ১০৫ রানের ইনিংস, যেটি এই তরুণ ওপেনারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও।

তবে শেষ পর্যন্ত সেই সেঞ্চুরিতে হারতে হয়নি বরিশালকে। দুই রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ঢাকাকে পরাজিত করে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে তারা।

জয় অবশ্য চেয়েছিল ঢাকাও। জয় পেলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করত তারা, ফাইনালে যাবার জন্য মিলত দুটি সুযোগ। আপাতত তৃতীয় স্থানে শেষ করায় এলিমিনেটরে মুখোমুখি হতে হবে বরিশালেরই।

তবে বরিশালের জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। বরিশালের ইনিংসে তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে মাত্র ৩৯ বলে তোলেন ৯১ রান, যেই পার্টনারশিপে ভর করে বরিশাল তোলে ১৯৪।

আফিফ পাঁচ ছয় ও এক চারের মারে ২৫ বলে তুলে নেন নিজের পঞ্চাশ, যা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। আর অন্য পাশে তৌহিদ হৃদয় দুই চার ও চার ছয়ে পঞ্চাশ করেন ২২ বলে, যা টুর্নামেন্টেরই দ্রুততম।

শুরুতে সাইফ হাসানের পঞ্চাশে এনে দেয়া ভিত্তিতে এই দুজন তোলেন রানের পাহাড়। যার ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় জয় তো বটেই, ঢাকা নয় বল হাতে রেখে না জিতলে, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে টপকে বরিশালই যাবে প্লে-অফে।

শুরুটা ভালোই করেছিল ঢাকা। সাব্বির রহমানকে নিয়ে নাইম পাওয়ার প্লেতে তুলে ফেলেছিলেন ৫২। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি শুভর তিন আঘাতে ১৭ বলের ব্যবধানে ফিরে যান সাব্বির, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আল-আমিন জুনিয়র।

কিন্তু সেখান থেকে ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান নাইম। তাদের ৫৯ বলে ১১০ রানের জুটির সহায়তায়, ছয় ওভারে ৮২ রান থেকে তিন ওভারে ৩৭ রানে সমীকরণ নামিয়ে আনে তারা।

কিন্তু ১৯তম ওভারে নাইম ও শেষ ওভারের প্রথম বলে ইয়াসির ফিরে গেলে, জয়ের আশা বিলীন হয়ে যায় ঢাকার। শেষ বলে আকবর আলি ছয় মারলেও, তাতে হারের ব্যবধানটাই স্রেফ কমে আসে দুই রানে।

নাইমের ১০৫ রানের পাশাপাশি ৪১ রান করেন ইয়াসির। শুভ নেন তিনটি উইকেট, একটি করে উইকেট পান সুমন খান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

এ বিভাগের আরো খবর