বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার বিপক্ষে বেক্সিমকো ঢাকার একাদশে ছিলেন না অফ স্পিনার নাঈম হাসান। কিন্তু বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমেই চোটে পড়তে হলো তাকে।
বৃহস্পতিবার ফিল্ডিংয়ের সময় মিডউইকেটে ক্যাচ নিতে ডাইভ দেন নাঈম। সে সময়ই চোট পান আঙুলে। সেই চোটের কারণে তখনই মাঠ ছাড়তে হয় এই তরুণ ক্রিকেটারকে।
শনিবার জানা যায়, ডান হাতের মধ্যাঙ্গুলিতে ফ্র্যাকচার হয়েছে নাঈমের। ছিটকে গেছেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে।
এর আগে আঙুলে একবার চোট পেয়েছিলেন এই স্পিনার। তবে, এই চোট আগের আঙুলে নয়। পূর্বের চোট ছিল ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে।
বেক্সিমকো ঢাকার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, আপাতত টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে নাঈমের চোটাক্রান্ত আঙুল। এর মধ্যে তাকে দেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরি।
‘ডান হাতের মধ্যাঙ্গুলিতে চোট পেয়েছে। ডা. দেবাশীষ তাকে দেখেছেন। আপাতত অস্ত্রোপচার লাগবে না। এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবে। টেপিং করে রাখা হয়েছে।’
ডা. দেবাশীষ নিউজবাংলাকে জানান, রোববার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হবে নাঈমের চোটের ব্যাপারে। সেখানেই জানা যাবে, অস্ত্রোপচার লাগবে কি না।
‘নাঈমের আঙুলে একটা ফ্র্যাকচার আছে। আমরা কালকে সকালে অর্থোপেডিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে আগাবো ওর চোট নিয়ে। অস্ত্রোপচার লাগবে কি না, সেটি কালকে জানা যাবে।’
এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের সময় ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পেয়েছিলেন নাঈম।