মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নুরুল হাসান সোহান নিশ্চয়ই আফসোস করছেন এখন। সৌম্য সরকারকে তারা ফেরাতে পারতেন প্রথম ওভারেই। অথচ সেটি না হওয়ায়, সৌম্য করেন ৬২।
সেই ৬২ আর লিটন দাসের ফিফটিতে, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম তুলেছে ১৭৫। এই লক্ষ্য তাড়া করে জিততেই হবে রাজশাহীকে। নইলে হারাতে হবে প্লে-অফে তাদের জায়গা।
সাইফুদ্দিনের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে শট খেলেন সৌম্য। ব্যাটে-বলে না হওয়ায়, বল চলে যায় উইকেটকিপার সোহানের কাছে। ব্যাটের বেশ কাছে দিয়ে যাওয়া বল নিয়ে কোন আবেদনই করেননি রাজশাহীর কোনো খেলোয়াড়।
অথচ আল্ট্রাএজে দেখা গেলো, ঠিকই ব্যাটে লেগেছিল বল। শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া সৌম্য এরপর লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ১২২ রানের জুটি।
এটি তাদের এই টুর্নামেন্টে চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি। তবে শনিবারই সেটি প্রথম পৌছায় তিন অংকের ঘরে।
সৌম্য নিজের পঞ্চাশ তুলে নেন ৪০ বলে। আর পঞ্চাশ ছুঁতে লিটন নেন ৩৮ বল।
দুই ওপেনারই পরপর ওভারে ফিরে যাবার পর খেই হারায় চট্টগ্রাম। আনিসুল ইমনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সৌম্য। রেজাউর রহমানকে স্কুপ করতে গিয়ে স্টাম্প ছত্রভঙ্গ হয় লিটনের।
ইমনের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। বেশিক্ষণ ক্রিজে টেকেননি মোসাদ্দেক হোসেনও। সাইফুদ্দিনের শর্ট বল মোসাদ্দেকের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় হাওয়ায়। সেই ক্যাচ নেন সাইফুদ্দিন নিজেই।
কিন্তু তৈরি করা চাপ শেষ দিকে ধরে রাখতে পারেনি রাজশাহী। ১৯তম ওভারে এসে দুটি নো বলে ছয়সহ মোট তিনটি ছয় খান রেজাউর রাজা। দুটি বিমারের জন্য বোলিং থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে।
সাইফুদ্দিনের করা শেষ ওভারে আসে ১৩। তাতে শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে পৌছায় চট্টগ্রাম। ১৮ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান।
রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট পান ইমন, একটি করে উইকেট পান রেজাউর ও সাইফুদ্দিন।