বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে মেহেদি হাসান মিরাজের অধিনায়কত্বে খেললেও, সাম্প্রতিক সময়ে এ-দল, ইমার্জিং দল এবং প্রেসিডেন্টস কাপে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন শান্ত।
রাজশাহী দলে শান্তর সতীর্থ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন তার ভেতর জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন।
‘যেভাবে ব্যাটিং করছে, যদি ধারাবহিক থাকে ৪-৫ বছর পর নেতৃত্ব হয়ত ওই (শান্ত) পাবে। যদি দেখেন এইচপি, এ-টিম, হাই পারফরম্যান্স সব জায়গায় নেতৃ্ত্ব দিয়ে আসছে। ওর ভেতরে সেই গুণাবলী আছে তাই দায়িত্ব পাচ্ছে’, বলেন সাইফুদ্দিন।
ড্রাফটের পর অধিনায়ক হিসেবে মিনিস্টার রাজশাহীর প্রথম পছন্দ ছিলেন শান্ত এমনটা জানান সাইফুদ্দিন। বলেন, ‘ড্রাফটের পর যখন জিজ্ঞেস করা হয় আমি বলেছি নো ডাউবট। ওর অধিনায়কত্ব বা ওর মনোভাব সব কিছু আমার ভালো লাগে। টিম ম্যানেজমেন্ট ওর প্রতি আস্থা রেখেছে। এখনও কিন্তু অসাধারণ অধিনায়কত্ব করছে। হয়ত টিম হিসেবে ফল পাচ্ছি না। তবে ওর অধিনায়কত্ব, মাঠের ভেতের-বাইরে বুস্ট আপ অসাধারণ।’
রাজশাহীর শেষ ম্যাচে শান্ত খেলেন ৫৫ বলে ১০৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। তার ওই ইনিংসেই রাজশাহীর স্কোরবোর্ডের জমা পড়ে ২২০ রান। তবে ফরচুন বরিশাল ২২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে, ১১ বল হাতে রেখেই।
ম্যাচে হারের পর স্বাভাবিক ছিলেন অধিনায়ক। তবে শান্তর সেঞ্চুরিকে যোগ্য সম্মান দিতে না পেরে নিজে কিছুটা মুষড়ে পড়েন এমনটা জানালেন সাইফুদ্দিন। ‘শান্ত স্বাভাবিক ছিল। একটা অসাধারণ ইনিংস খেলা ক্রিকেটারকে জয় উপহার দিতে পারিনি। এই জিনিসটা ওর কেমন খারাপ লেগেছে জানি না কিন্তু নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছিল। যদি আরেকটু ইকোনমিক্যাল হতে পারতাম। পাওয়ার প্লেতে এক-দুইটা উইকেট বের করে দিতে পারতাম। ও যেই ইনিংসটা খেলেছে জয় প্রাপ্য ছিল। তারপরও অনেক খারাপ লাগছিল। যদি সুযোগ আসে চেষ্টা করব এই ভুলগুলো যেন আর না করি’, বলেন এই পেইস বোলিং অলরাউন্ডার।