মেহেদি হাসান নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। নইলে তারই বলে দুবার তামিম ইকবালের ক্যাচ মিস?
মেহেদির প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শর্ট এক্সট্রা কভারে, ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তামিম, রীতিমত লোপ্পা ক্যাচ। সেই ক্যাচ ধরতে পারলেন না সৈকত আলি।
এমনকি মেহেদির তৃতীয় ওভারে উইকেটকিপার এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে আরও সহজ ক্যাচ দেন তামিম। অথচ সেটিও ফেলে দেন মিঠুন!
শূন্য এবং ১৪ রানে তামিমের দুই ক্যাচ ফেলার পর তামিম করেন ৪৩। তার ইনিংস ও সাইফ হাসানের ৪৬ রানের সঙ্গে আফিফ হোসেনের অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফরচুন বরিশাল তুলেছে ১৪৯।
মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, লিটন দাসদের ছাড়া মাঠে নামা চট্টগ্রামের বিপক্ষে দারুণ শুরুই পেয়েছিল বরিশাল। তামিম ও সাইফ মিলে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
তবে দুজনকেই ফেরত পাঠান মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথমে সাইফকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর ফিরতি ক্যাচে ফেরান তামিমকে।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বরিশাল। জিয়াউর রহমানের বলে স্কোয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন ফেরত যাওয়ার পর সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়ও।
মেহেদি হাসান মিরাজও ফেরেন সৌম্যের দারুণ ক্যাচ হয়ে, এরপর জিয়াউর রহমানের বলে সৈকত আলির দুর্দান্ত ক্যাচ ফিরে যান ইরফান শুক্কুরও।
তবে সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে ২৩ রান নিয়ে বরিশালের সংগ্রহকে ১৪৯ রানে পৌঁছে দেন আফিফ ও সুমন।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোসাদ্দেক, জিয়াউর ও সঞ্জিত সাহা।