বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাব্বির-রবির হাত ধরে টানা ৪ জয় ঢাকার

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৫৮

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বেক্সিমকো ঢাকা ১৭৯/৭, ২০ ওভার (সাব্বির ৫৬, নাইম ৩৬, শহিদুল ২/৩০, হাসান ১/২৩); জেমকন খুলনা ১৫৯, ১৯.৩ ওভার (জহুরুল ৫৩, শামিম ২৪, রবি ৫/২৭, রুবেল ২/৩০)

টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচেই ভাগ্যে হার জুটেছিল বেক্সিমকো ঢাকার। অথচ চার ম্যাচ পরই তাদের অবস্থান সম্পূর্ণ উল্টো। জেমকন খুলনাকে ২০ রানে হারিয়ে টানা চার জয় তুলে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। সঙ্গে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফে জায়গাও।

ব্যাট হাতে ঢাকার নায়ক যেখানে সাব্বির, বল হাতে নিশ্চিতভাবেই অফ-স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি। তার ২৭ রানে পাঁচ উইকেটে ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ঢাকা।

সাব্বিরের ফিফটি ও আকবর আলির ঝড়ো ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ১৭৯ তোলে ঢাকা। জবাবে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা।

নিজের প্রথম দুই ওভারে জাকির হাসান ও সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই খুলনাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রবিউল।

জহুরুল ইসলাম ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়লে তাতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয় খুলনা। 

কিন্তু ১২ বলের ব্যবধানে মাহমুদুল্লাহ, মাশরাফি মোর্ত্তজা, জহুরুল ও আরিফুল হক বিদায় নিলে জয়ের আশা ম্লান হয়ে যায় খুলনার। 

মুক্তার আলির এক ওভারে ২২ রান নিয়ে অবশ্য তাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছিলেন শামিম পাটোয়ারি। তবে ১৬তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে শামিম ও শুভাগত ফিরে গেলে ঢাকার দিকে ম্যাচ ঝুঁকে পড়ে তখনই।

শহিদুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ শেষ দিকে ম্যাচে একটু উত্তেজনার পারদ ছড়ালেও শেষ ওভারে তা শেষ করে দেন রবিউল। প্রথমে ফেরান শহিদুলকে। এরপর নাজমুল ইসলাম অপুকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে খুলনাকে আটকে দেন ১৫৯ রানে; ২০ রানের জয় পায় ঢাকা।

রবিউলের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুক্তার ও রুবেল। একটি উইকেট পান নাসুম আহমেদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় ঢাকা। সাকিব আল হাসানের করা দ্বিতীয় ওভারে চারটি ছয় মারেন নাইম শেখ। ওভারটিতে আসে ২৬ রান।

নাইম অবশ্য ক্রিজে টেকেননি বেশিক্ষণ। চতুর্থ ওভারেই শহিদুল ইসলামের বলে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

তবে অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন এই টুর্নামেন্টে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সাব্বির রহমান। আল-আমিন জুনিয়রকে নিয়ে ঢাকাকে দারুণ ভিত্তি এনে দেন ৬১ রানের জুটি গড়ে।

তবে এরপর শামিম পাটোয়ারির কল্যাণে ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। মিড-উইকেট সীমানায় দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে প্রথমে শামিম ফেরত পাঠান আল-আমিনকে। এরপর মাশরাফি মোর্ত্তজার বলে মুশফিকুর রহিমের লিডিং এজ পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে ধরে মাত্র তিন রানে ফেরত পাঠান ঢাকার কাপ্তানকে।

মুশফিকের বিদায়ের তিন বলের মাথায় রান আউট হয়ে ছন্দে থাকা ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরে যান ‘ডায়মন্ড ডাক’ করে।

তবে এরপর প্রতি-আক্রমণ শুরু করেন আকবর আলি। নাজমুল ইসলাম অপুকে এক ওভারে চার ছয় মেরে ঢাকাকে বড় রানের পথে ফেরান তরুণ এ ব্যাটসম্যান। হাসান মাহমুদের বলে আউট হওয়ার আগে আকবর খেলেন ১৪ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস।

আকবরের বিদায়ের পরপরই শহিদুল ইসলামকে চার মেরে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি তুলেন সাব্বির। আরেকটি চার মারার পরের বলেই অবশ্য সাব্বির ফিরে যান ৫৬ রানে, মাহমুদুল্লাহকে সহজ ক্যাচ দিয়ে।

সাব্বির ফিরে যাওয়ার পর শহিদুল ও হাসানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ তিন ওভারে ঢাকা নিতে পারে মাত্র ১২ রান। তাতে শেষ পর্যন্ত দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৯ রান।

খুলনার হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন শহিদুল। তবে তাদের হয়ে সেরা বোলার ছিলেন হাসান মাহমুদ। চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে আকবর আলির উইকেট তুলে নেন তিনি। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি ও অপু।

এ বিভাগের আরো খবর