মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে রান উঠেছে ৪৪১। ছক্কা হয়েছে রেকর্ড ২৮টি। এর মধ্যে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেছেন বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বি।মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকসহ রাজশাহীর চার উইকেট একাই তুলে নেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন রাব্বি। এর আগে আল আমিন হোসেন দুইবার এবং আলিস আল ইসলাম একবার হ্যাটট্রিক করেছেন।
ম্যাচের শেষ ওভারের আগে ফরচুন বরিশালের পেসার রাব্বির বোলিং ফিগার ছিল ৩ ওভারে ৩৯ রান। নামের পাশে কোনো উইকেট ছিলনা। পুরো ইনিংসে মনে রাখার মতো কিছুই করেননি এই ডানহাতি পেসার।
সেই রাব্বিই শেষ ওভারের এসে প্রথম তিন বলে তুলে নেন রাজশাহীর ৩ উইকেট। পরের বলে চার রান দিয়ে পঞ্চম বলে আবার উইকেট। শেষ বলে অবশ্য ছক্কা হজম করেন তিনি।
ডেথ ওভারে কামরুল রাব্বি বেশ ধারাবাহিক। ইয়র্কার দেওয়ার সামর্থ্যরে কারণেই বাকিদের থেকে আলাদা এই ডানহাতি পেসার। কিন্তু বরিশালের বাকি বোলারদের মতো তার দিনটাও খারাপ ছিল।
প্রথম ৩ ওভারে এলোমেলো লাইন-লেন্থে প্রচুর রান দেন তিনি। শেষ ওভারেও একই ঘটনার জন্য প্রস্তত ছিল সবাই।
কিন্তু ঘটল উল্টোটা। মারতে গিয়ে একে একে উইকেট দিলেন রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। ফুল লেংথের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফ বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান।
পরের বলটি করেন বাঁহাতি নাজমুলের শরীর লক্ষ্য করে। সরে গিয়ে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারকে। হ্যাটট্রিক বলের বাড়তি আগ্রহ অবশ্য এ সময় দেখা যায়নি।
ফরহাদ রেজা ঠিক নুরুলের মতো লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে রাব্বি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পান। এটি ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে পঞ্চম হ্যাটট্রিক।
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক:
আল আমিন হোসেন (বিসিবি একাদশ) প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেড (২০১৩)।আল আমিন হোসেন (বরিশাল বুলস) প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস (২০১৫)।আলিস আল ইসলাম (ঢাকা ডিনামাইটস) প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স (২০১৯)।মানিক খান (প্রাইম দোলেশ্বর) প্রতিপক্ষ বিকেএসপি (২০১৮)।কামরুল ইসলাম রাব্বি (ফরচুন বরিশাল) প্রতিপক্ষ মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী (২০২০)।
সূত্র: বাসস