হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি ও কোভিড ১৯ এর ধাক্কা সামলে অবশেষে মাঠে ফিরলেন মাশরাফি মোর্ত্তজা। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনার হয়ে মাঠে নামেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক।মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর, জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাশরাফি। এরপর মঙ্গলবারই নামেন মাঠে।চমক হিসেবে টস হেরে আগে ব্যাট করা জেমকন খুলনা চার নম্বরে নামায় মাশরাফিকে। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে সফল হননি তিনি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। স্ট্রাইকে থাকা তার সঙ্গী সাকিব আল হাসান বল মেরেছিলেন সোজা।সেই সোজা বলই বোলার রকিবুল হাসানের হাতে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে। ততক্ষণে ক্রিজে ফিরতে পারেননি নন স্ট্রাইকে থাকা মাশরাফি।এতদিন পর মাঠে নেমে মাশরাফিকে ফিরতে হয় মাত্র ১ রানে।
বল হাতে পুরো চার ওভার তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
পুরো স্পেল বল করে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পান ম্যাশ। ১২ রান করা মোসাদ্দেক হোসেনকে বোল্ড করেন তিনি।এর আগে, করোনার কারণে প্রায় সাতমাস ক্রিকেট বন্ধ থাকার পর, অক্টোবরে ঘরোয়া প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেটিতে অংশ নেননি কোভিড থেকে সেরে ওঠা মাশরাফি।এরপর বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের আগে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়লে তাকে রাখা হয়নি প্লেয়ার্স ড্রাফটে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফেরেন ম্যাশ।জেমকন খুলনার পাশাপাশি তাকে দলে টানার চেষ্টা করে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত বিসিবির লটারিতে খুলনা হয় মাশরাফির গন্তব্য।