বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমন ঝড়ের উপাখ্যান

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:১৯

১৮ বছর বয়সী ইমন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে পেলেন টি-টোয়েন্টিতে তিন অংক, যেটি একই সঙ্গে দ্রুততমও।

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বেঁধে দেওয়া ২২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে পারভেজ হোসেন ইমন যখন ক্রিজে আসেন, দলের রান তখন ৪.৩ ওভারে ৪৪। মাত্রই ফিরে গেছেন সাইফ হাসান, অপর প্রান্তে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

প্রথম বলটায় ডট দিলেন, পরের বলটা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন করলেন ওয়াইড। এরপর যেটা করলেন ইমন, তাকে তাণ্ডব বললেও কম বলা হবে।

নিজের দ্বিতীয় বলেই ফ্লিক করে চার মারেন। দারুণ স্ট্রাইক রেটে দলকে রাখলেন জয়ের পথেই। কিন্তু ফরহাদ রেজার করা ইনিংসের ১৩ নম্বর ওভারে রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ করে ফেললেন তিনি।

প্রথমে ফ্লিক করে ছক্কা হাঁকান। স্লটে পাওয়া পরের বলটা মিড উইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলে ২৫ বলে তুলে নেন নিজের ফিফটি। পরের বলটায় মারলেন চার, এরপরের বলটা রেজা করলেন ফুলটস। তাতে আরেক ছয়, সব মিলিয়ে ওভারে ২৪ রান নিয়ে ম্যাচটা বরিশালের নাগালে নিয়ে এলেন ইমন।

দলের যখন আর ১৪ রান প্রয়োজন, ইমনের তখনও চাই ১২ রান। সেই ওভারে একটি ছয় মারলেন, তাতে শেষ দুই ওভারে সমীকরণ এমন - বরিশালের জয়ের জন্য চাই চার, ইমনের সেঞ্চুরির জন্যও তাই।

আনিসুম ইমন ১৯তম ওভারের প্রথম বলটা করলেন অফ স্টাম্পের বাইরে। ইমন সেই বলটাকে এক্সট্রা কভার ড্রাইভে পাঠিয়ে দিলেন সীমানায়, তাতে ১১ বল হাতে রেখেই জয় বরিশালের। আর ইমনের সেঞ্চুরিটা মাত্র ৪২ বলে।

যেই সেঞ্চুরিটা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। রেকর্ডটি আগে ছিল তামিমের দখলে, ২০১৯ বিপিএলের ফাইনালে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছিলেন তামিম।

সেই রেকর্ড আট বল কম খেলে ভাঙলেন ইমন। শুধু তাই নয়, ১৮ বছর বয়সী ইমন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে পেলেন টি-টোয়েন্টিতে তিন অংক।

ইমন তার ৪২ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসে মেরেছেন নয়টি চার ও সাতটি ছয়। এই ৪২ বল খেলে ইমন ডট বল দিয়েছেন মাত্র পাঁচটি। 

ম্যাচ শেষে ইমন জানালেন, লক্ষ্যের দিকে চোখ ছিল না তার। ভালো উইকেটে খেলেছেন নিজের স্বাভাবিক খেলাটা।

‘বড় রান তাড়া করতে হতো। চেষ্টা করেছি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যেতে। রান দেখার চেষ্টা করিনি। ওভার দেখেছি, ওভার দেখে খেলেছি। আজকের উইকেটটা ভালো ছিল। আমরা সেই অনুযায়ীই ব্যাটিং করেছিলাম। অনেক ভালো লাগছে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে এমন ম্যাচ জিতে। সামনে আশা করি এটা কাজে লাগবে’, বলেন ইমন।

এই বছরের শুরুতেই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ইমন। সেই ম্যাচের ফাইনালে খেলেছিলেন ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় চোটে পড়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে হয় ইমনকে।

সেই চোট নিয়ে ফিরে অধিনায়ক আকবর আলির সাথে ৪৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যান জয়ের কাছে। আকবর আলি জিতিয়ে ফেরেন, বাংলাদেশ হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।

এ বিভাগের আরো খবর