টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা নতুন কিছু নয় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য। এর আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খুলনা টাইগার্সের হয়েও করেছিলেন শতক।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দুটো ফিফটি করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। সেটি করলেন মঙ্গলবার। আর তাতে রীতিমত জ্বলেপুড়ে ছাই ফরচুন বরিশাল।
শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী আনিসুল ইমন। ৬৯ করা ইমনের সাথে শান্ত গড়েছিলেন ১৩১ রানের ওপেনিং জুটি। সেই ভিত্তিতে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের পাহাড় গড়ে রাজশাহী। ইনিংস শেষ করে ২২০ রানে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে শান্ত করেন ৫৫ বলে ১০৯।
রাজশাহীর সংগ্রহ আরও বেশিও হতে পারতো। শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি হ্যাট্রিকসহ চার উইকেট নিয়ে, মাত্র দশ রান দিয়েছেন বলে রক্ষা।
রাজশাহীর এমন তাণ্ডবলীলা দেখে হয়ত আফসোসই করেছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টসে জিতে যে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন!
ইমন ইনিংস বড় না করতে পারলেও, শান্ত তুলে নিয়েছেন নিজের শতক।
পাওয়ারপ্লের প্রথম পাঁচ ওভারে একটু শান্তই ছিলেন রাজশাহীর দুই ওপেনার। তোলেন ৪২। কিন্তু রাব্বির করা ষষ্ঠ ওভারে ২২ রান নিয়ে যে বাধ খুলে দিলেন, সেই বন্যায় রীতিমত ভেসে গেল বরিশাল।
ইমন ও শান্তর জুটি ১২.২ ওভারে তোলে ১৩১। সুমন খানের বলে আফিফ হোসেন দারুণ এক ক্যাচ হয়ে ইমন যখন ফিরছেন, ততক্ষণে করে ফেলেছেন ৩৯ বলে ৬৯। এর আগে ফিফটি করেন ২৫ বলে। পুরো ইনিংসে মেরেছেন সাত চার ও তিন ছয়।
ইমন যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, তার অধিনায়ক শান্ত ততক্ষণ আগ্রাসন খানিকটা দমিয়ে রেখেছিলেন। মেহেদি হাসান মিরাজকে এক ওভারে দুই ছয় মেরে শান্ত ফিফটিতে পৌছান। ইমনের বিদায়ের পর আফিফকে এক ওভারে তিন ছয় মেরে বুঝিয়ে দিলেন, তিনিও কম নন।
তিন নম্বরে নামা রনি তালুকদারের সঙ্গে ২৩ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন শান্ত। যেই জুটি ভাঙে সুমনের দারুণ ক্যাচে। সুমনের বলে সোজা জোরালো শট মেরেছিলেন রনি, কিন্তু বাম হাত বাড়িয়ে সেই ক্যাচ ধরে ফেলে রনিকে ফেরত পাঠান সুমন।
পরের বলে আবারও নায়ক সুমন। তার করা দারুণ ইয়র্কার মেহেদি হাসান আটকে দিলেও, রান নিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। শান্ত না করে দেয়ার পর ফিরতে একটু দেরি করেন মেহেদি। সেই সুযোগে তাকে রান আউট করে শূণ্য রানে ফেরান সুমন।
শান্ত নিজের ফিফটি তুলতে খরচ করেছিলেন ৩১ বল। ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে রান তোলেন ঝড়ের গতিতে। তাসকিন আহমেদকে ছয় মেরে যখন নিজের শতকে পৌছান এই বাঁহাতি, পরের পঞ্চাশ করেছেন মাত্র ২১ বলে।
শেষ ওভারে রাব্বি ম্যাচের জন্য চমক বাকি রেখেছিলেন। প্রথম তিন বলে নুরুল হাসান সোহান, শান্ত ও ফরহাদ রেজাকে আউট করে তুলে নেন টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক। এরপরের বলে চার খেলেও পঞ্চম বলে সাইফুদ্দিনকে আউট করে তুলে নেন ওভারে নিজের চতুর্থ উইকেট।
শেষ বলে ফজলে মাহমুদের ছয়ে, ২২০ রানে শেষ করে রাজশাহী।