গোড়ালির চোটে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ছিটকে পড়েন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ঠিক আগে। দলের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে ফিরলেন মাঠে, কিন্তু সেই ফেরাটা সুখের হলো না।
সাকিব আল হাসানের উইকেট পেলেও, সাইফুদ্দিনের দল রাজশাহী জেমকন খুলনার কাছে হেরেছে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে। সেই হারের দায় কিছুটা হলেও নিতে হচ্ছে সাইফুদ্দিনকে।
১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২১ রান। শেষ ওভার করতে এসে সাইফুদ্দিন করলেন একটি নো-বল, দিলেন ১৫ রান। কার্যত সেখানেই শেষ হওয়া ম্যাচের ইতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টানেন ম্যাচের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে।
খুলনার জয়ের কৃতিত্ব মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে না দিলেই নয়। ইমরুল কায়েসের বিদায়ের পর যখন ক্রিজে আসেন, দলের প্রয়োজন তখন ৩৭ বলে ৫২। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান সাকিবও।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই ফেরেন খুলনা অধিনায়ক। আর তাতে, টানা তৃতীয় জয় তুলে নেয় খুলনা। সব মিলিয়ে চতুর্থ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আনিসুল ইমনকে হারায় রাজশাহী। কিন্তু সেখান থেকে প্রতি-আক্রমণ শুরু করেন অধিনায়ক শান্ত। রনি তালুকদার ও মেহেদি হাসানের সাথে ছোট দুটি জুটি গড়ে রাজশাহী ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন শান্ত, নিজের ফিফটি তুলে নেন ৩৩ বলে।
ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। শান্ত ফিরবার সাত বল পরে ফিরে যান আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো ফজলে মাহমুদ।
সেখান থেকে ৩৭ বলে ৫২ রানের এক জুটি গড়ে রাজশাহীকে ১৪৫ রানে নিয়ে যান জাকের আলি অনিক ও সোহান। দুজনের মধ্যে আগ্রাসী ছিলেন সোহান। ২১ বলে ৩৭ করার পথে তিনি মারেন তিনটি চার ও দুটি ছয়।
উইকেট না পেলেও খুলনার সেরা দুই বোলার ছিলেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ। নিজেদের চার ওভারে দুজন রান দেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৬।
খুলনার হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন শুভাগত হোম, একটি করে উইকেট পান আল-আমিন হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল্লাহ।
জবাবে, বেশ ভালো শুরু পায় খুলনা। জহুরুল ইসলাম ও জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান আসে তাদের।
তবে জাকির ফিরে যাবার পরও, জহুরুলের ৪৩ ও ইমরুল কায়েসের ২৭ রানে জয়ের পথে থাকে খুলনা।
ছয় বলের ব্যবধানে ইমরুল ও সাকিব ফিরে গেলে চাপ বাড়ে দলের ওপর। সেই চাপ আরও বাড়ে জয় থেকে ৩৭ রান দূরে থাকতে শামিম পাটোয়ারির বিদায়ে।
তবে সেখান থেকে কোন ভুল করেননি মাহমুদুল্লাহ। আরিফুল হককে সঙ্গী করে তিন বল হাতে রেখেই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। একটি করে উইকেট পান সাইফুদ্দিন, আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজা।