প্রথম চার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে থামাতে পারেনি কেউই। চার ম্যাচের চারটিতে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল তারা।
তাদের সেই অপ্রতিরোধ্য যাত্রা অবশেষে থামাল বেক্সিমকো ঢাকা। সাত রানের জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে চট্টগ্রামকে হারাল তারা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম তিন ম্যাচ হারার পর টানা তিন জয় তুলে নিল ঢাকা।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৭৩ রানে ভর করে ১৪৫ রানের সংগ্রহ গড়েছিল ঢাকা।
জবাবে প্রথম ওভারে সৌম্য সরকার শুন্য রানে ফিরে গেলেও, লিটন দাসের ব্যাটে জয়ের পথে ম্যাচে টিকে থাকে চট্টগ্রাম।
লিটন ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৮ রানের জুটি ভাঙার পর খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম। মাত্র চার বলের ব্যবধানে ফিরে যান লিটন ও মিঠুন। লিটন ফেরেন তরুণ পেসার শফিকুল ইসলামের দারুণ ক্যাচ হয়ে, মিঠুন ফেরেন শফিকুলের বলে ইয়াসির আলি রাব্বির সহজ ক্যাচ হয়ে।
সেখান থেকে শেষ তিন ওভারে সমীকরণ দাড়ায়, তিন ওভারে চট্টগ্রামের চাই ৩৩।
সেই ওভারে শামসুর রহমান ও জিয়াউর রহমান ফিরে গেলেও, দুই চার মেরে চট্টগ্রামকে ম্যাচে রাখেন নাহিদুল ইসলাম। রুবেল হোসেনের বলে মোসাদ্দেক হোসেন ও শেষ ওভারের প্রথম বলে নাহিদুল বিদায় নিলে ম্যাচ কার্যত শেষ হয়ে যায় চট্টগ্রামের জন্য।
তবে পাঁচ বলে ১৬ রান থেকে ছয় মেরে চার বলে দশ রানের সমীকরণ বানিয়ে চট্টগ্রামকে আশা দেখান মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু সেখানেই শেষ। পরের চার বলে মাত্র দুই রান আসায় সাত রানের জয় তুলে নেয় ঢাকা।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ করেন লিটন দাস। ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন মুক্তার। দুটি উইকেট পান রুবেল হোসেন ও রবিউল ইসলাম রবি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে ঢাকা। পাওয়ার প্লে-তে তারা হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। হারাতে পারতো আরও, কিন্তু সেটি হয়নি চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের বদান্যতায়।
ব্যক্তিগত দুই রানে স্পিনার রকিবুল হাসানের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারকে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। কিন্তু সৌম্য সেটি ধরতে পারেননি। মুশফিক এরপর ছন্দে থাকা ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে ম্যাচে ফেরান ঢাকাকে।
দুজনের ৭২ বলে ৮৬ রানের জুটিতে শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ভিত্তি তৈরি হয়ে যায় ঢাকার। ইয়াসির ৩৪ রানে আউট হওয়ার সময়, মুশফিকের স্কোর ছিল ৩৭ বলে ৪৮।
এরপর মুশফিক খেললেন ১৩ বল। সেই ১৩ বলে ২৫ রান তুলে নিয়ে নিশ্চিত করেন, বোলারদের লড়াই করার মত পুঁজি।
চট্টগ্রামের সেরা বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও নাহিদুল ইসলাম। মাত্র একটি করে উইকেট নিলেও দুজনই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি পাঁচের কম। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও রকিবুল।