বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দুই দলের প্রথম দেখাটা খুব আনন্দের স্মৃতি নয় জেমকন খুলনার জন্য। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে সেই ম্যাচে তাদের হার মানতে হয়েছিল ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে।
তবে সেখান থেকে দুই দলের যাত্রাটা ভিন্ন পথে। খুলনা যখন পরের তিন ম্যাচে তুলে নিয়েছে দুই জয়, রাজশাহী তখন পায়নি একটিও।
দুই দলের মুখোমুখি দ্বিতীয় লড়াইয়ে, রাজশাহীর অনুপ্রেরণা তাই প্রথম ম্যাচ। আর অন্যদিকে জেমকন খুলনার লক্ষ্য থাকবে, রাজশাহীকে হারিয়ে প্রতিশোধের পাশাপাশি টানা তিন জয় তুলে নেয়া।
রাজশাহীর অনুপ্রেরণা আসতে পারে অন্য কোথাও থেকেও। গোড়ালির চোটে পড়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বাইরে ছিলেন তাদের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে, সম্প্রতি অনুশীলনে ফিরেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। রোববার তাকে দেখা যেতে পারে রাজশাহী একাদশে।
চোট সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে খুলনাও। পেসার শফিউল ইসলাম ইতোমধ্যেই ছিটকে গেছেন পিঠের চোটে, তার বদলে তারা দলে নিয়েছে আরেক পেসার খালেদ আহমেদকে।
তবে শফিউলের চোটের চেয়েও খুলনা কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের মাথাব্যাথার বড় কারণ সাকিব আল হাসানের ফর্ম। এখনও টুর্নামেন্ট কোন ম্যাচেই রান পাননি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার, তবে বল হাতে অবদান রেখেছেন দলের জয়ে।
অন্যদিকে রাজশাহী কোচ সারওয়ার ইমরানের আশা থাকবে ফর্মে ফিরবেন তার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। ফজলে মাহমুদ ও রনি তালুকদার শেষ ম্যাচে রান পেলেও, বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হারই মানতে হয়েছিল রাজশাহীকে।
খুলনার হয়ে প্রথমবারের মত নেমেই ফিফটি তুলে নেয়ায় আপাতত জাকির হাসানেই ভরসা রাখবে তারা। আপাতত এনামুল হক বিজয়কে থাকতে হচ্ছে একাদশের বাইরেই, রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার নামার সম্ভাবনা অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই।রাজশাহী একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। মোহাম্মদ আশরাফুলের বদলে দলে আসতে পারেন চোট থেকে ফেরা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
সম্ভাব্য একাদশজেমকন খুলনা: জাকির হাসান, জহুরুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), শামিম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, শুভাগত হোম, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, আল-আমিন হোসেন।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), আনিসুল ইমন, রনি তালুকদার, ফজলে মাহমুদ, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ফরহাদ রেজা, আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, এবাদত হোসেন।