বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হার মানতে হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে উল্টে গেল পাশার দান। এবার জয়ী ঢাকা।
প্রথমে ব্যাট করে ইয়াসির আলি রাব্বির ৬৭ ও আকবর আলির অপরাজিত ৪৫ রানের সাহায্যে ঢাকা সংগ্রহ করে ১৭৫।
ব্যাটিংয়ে ঢাকার নায়ক ইয়াসির ও আকবর হলে, বোলিংয়ে নিঃসন্দেহে মুক্তার আলি। রনি তালুকদার, মেহেদি হাসান, ফজলে মাহমুদ ও ফরহাদ রেজা - ঢাকার বিপদের কারণ হতে পারেন, এমন চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে চমক দেখায় ঢাকা। নাইম শেখের সাথে ইনিংস সূচনা করতে পাঠায় নাঈম হাসানকে। কিন্তু তাতে কোন উপকার হয়নি তাদের, প্রথম ওভারে বিদায় নেন নাঈম।
নাইম ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মিলে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিলেও, রান পেতে ভুগছিলেন নাইম। আট নম্বর ওভারে নাইম যখন ফেরেন, ১৯ বলে তিনি করেন মাত্র নয়।
নাইম ফেরার পরের ওভারেই ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিমও। কিছুক্ষণ পরে ৩৭ রানে মুশফিকও ফিরে গেলে, আরেকবার অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার ভয়েই ছিল ঢাকা।
সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেন ইয়াসির ও আকবর। বোলারদের প্রতি-আক্রমণ করে রানের চাকা সচল করেন তারা দুজনে। দুজনে মিলে ১০০ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৫৪ বলে।
শেষ ওভারে যখন ফিরে যান ইয়াসির, ততক্ষণে করে ফেলেছেন ৩৯ বলে ৬৭। সেই ইনিংসে ছিলো নয়টি চার ও একটি ছয়।
ইয়াসির ফিরলেও তার সঙ্গী আকবর থাকেন শেষ বল পর্যন্ত। ইনিংস শেষে যখন ফিরছেন, তার নামের পাশে তখন অপরাজিত ৪৫। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনটি চার ও দুটি ছয়।
রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, একটি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা, মেহেদি হাসান ও আরাফাত সানি।
জবাবে, শুরুতেই বিপদে পড়ে রাজশাহী। পঞ্চম ওভারের আগেই হারিয়ে ফেলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, আনিসুল ইমন ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে। স্কোরবোর্ডে রান তখনও মাত্র ১৫।
সেখান থেকে রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ ৬৭ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরান রাজশাহীকে। তবে পরপর দুই ওভারে রনি ও মেহেদিকে ফেরত পাঠিয়ে মুক্তার ম্যাচ নিয়ে আসেন ঢাকার দিকে।
তবে সেখান থেকেও রাজশাহীকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ফজলে মাহমুদ। ৩৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে রাজশাহীকে ম্যাচে রাখেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কিন্তু ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল মুক্তারের। প্রথমে ফেরান মাহমুদকে। এরপর ১৮তম ওভারে টানা দুই ছয় মারা ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন।
শেষ দুই ওভারে ২৯ লাগলেও রাজশাহী নিতে পারে মাত্র তিন রান। হারিয়ে ফেলে বাকি দুই উইকেট। তাতে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ঢাকা জয় তুলে নেয় ২৫ রানে।
এই জয় দিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয় পেল ঢাকা। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হারের মুখ দেখলো রাজশাহী।