বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিশালের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় সহজ জয় খুলনার

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৪৯

সংক্ষিপ্ত স্কোর: জেমকন খুলনা ১৭৩/৬, ২০ ওভার (জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, রাব্বি ৩/৩৩, তাসকিন ২/৪৩); ফরচুন বরিশাল: ১২৫, ১৯.৫ ওভার (তৌহিদ ৩৩, তামিম ৩২, শহিদুল ২/১৭, শুভাগত ২/১৮)

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছিল জেমকন খুলনা। সেই ম্যাচ জিততে রীতিমত ঘাম ছুটে যায় তাদের। আরিফুল হক শেষ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজকে চার ছক্কা মারার পরই আসে জয়। 

দ্বিতীয় দেখায় এতোটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়নি খুলনাকে। জাকির হাসানের ৬৩ রানের সাহায্যে আগে ব্যাট করে তারা করে ১৭৩। এরপর বরিশালকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে তুলে নেয় ৪৮ রানের জয়।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বাজেভাবে শুরু করে খুলনা। তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হন জহিরুল ইসলাম। ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দশ বলে করেন মাত্র দুই।

খুলনার বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয় জাকিরের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ৯০ রানের জুটি। ৬৮ বলের জুটিতে খুলনার ইনিংস গতি পায়, যা কাজে লাগান মাহমুদুল্লাহ। ৩৭ রান করে ইমরুল ফিরলে ভাঙে জাকির-ইমরুলের জুটি। ইমরুলের পর ৬৩ রানে ফিরে যান জাকিরও।

সাকিব আল হাসান আগ্রাসী ভাবে শুরু করলেও তাকে ফিরতে হয় মাত্র ১৪ রানে। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে লং-অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চাইলে বাউন্ডারিতে লাফ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন তৌহিদ হৃদয়। ফলে, ব্যাট হাতে বাজে ফর্মটা কাটানো হয়ে ওঠেনি সাকিবের।

শেষ পাঁচ ওভারে ৫৫ তোলে খুলনা। যার ৩৩ আসে শেষ দুই ওভারে। তাসকিনের করা ১৯তম ওভারে আসে ১৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে আট রান দিয়ে শামিম পাটোয়ারি ও মাহমুদুল্লাহকে কামরুল ইসলাম রাব্বি আউট করলেও, শেষ বলে আরিফুল হকের মারা ছক্কায় খুলনা পৌঁছে যায় ১৭৩-এ।

খুলনার বড় সংগ্রহে অবদান আছে বরিশালের বোলারদের। ১৬ রান স্রেফ ওয়াইড দিয়েই খুলনাকে উপহার দিয়েছেন তারা।

বরিশালের হয়ে তিনটি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। দুই উইকেট নিলেও চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে খরুচে ছিলেন তাসকিন।

জবাবে শুরুটা ভালো হয় বরিশালের। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে সাত ওভারে তুলে ফেলেন ৫৭। 

কিন্তু সাত বলের ব্যবধানে তামিম, ইমন ও আফিফ হোসেন ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় বরিশাল। শুভাগত হোমের বলে প্রথমে স্টাম্প ছত্রভঙ্গ হয় ইমনের। একই বোলারকে স্টেপ ডাউন করে মারতে এসে তামিম বিদায় নেন জহুরুলকে ক্যাচ দিয়ে। 

আর পরের ওভারে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান আফিফ।

এরপর ম্যাচেই ফিরতে পারেনি বরিশাল। রানের গতি বাড়ায়, আস্কিং রেট বাড়তে থাকে হু হু করে। আর সেই বাড়তি চাপেই ভেঙে পড়েন তাদের ব্যাটসম্যানরা। 

১৪ বলে শেষ ছয় উইকেট হারিয়ে বরিশাল শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে। মেনে নিতে হয় ৪৮ রানের হার। 

খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম ও শুভাগত। একটি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন ও সাকিব।

এ বিভাগের আরো খবর