গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের জয়রথ প্রায় থামিয়েই দিয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
আগে ব্যাট করে লিটন দাসের অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসের সাহায্যে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৭৬ করে চট্টগ্রাম। জবাবে রান তাড়ার শেষ ওভারে রাজশাহীর দরকার হয় ১৪।
সেই ১৪ রান হতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। ২০তম ওভারের প্রথম বলে ফেরান নুরুল হাসান সোহানকে। দ্বিতীয় বলে আহত রনি তালুকদার বেঁচে গেলেন একটুর জন্য। পরের বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি।চতুর্থ বলে লং অনের ওপর দিয়ে ছয় হাঁকান। রাজশাহীর দরকার হয় দুই বলে আট।
পরের বলটায় নিখুঁত ইয়র্কার করেন মুস্তাফিজ। ভাগ্য খারাপ দ্য ফিজের। ইনসাইড এজে চার হয় উইকেট কিপার লিটনকে ফাঁকি দিয়ে।
শেষ বলে চার রান লাগলেও, রনি নিতে পারেন মাত্র দুই। রাজশাহী থামে ১৭৫ রানে।তাতে এক রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় চট্টগ্রামের, টুর্নামেন্টে তাদের টানা চতুর্থ। আর প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচ হারল রাজশাহী।
এর আগে সন্ধ্যায়, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের হয়ে শুরুটা দারুণ করেন সৌম্য সরকার ও লিটন। দলের রান পঞ্চাশ ছুঁয়ে যায় পাঁচ ওভারে। সপ্তম ওভারে সৌম্য যখন ফেরেন দলের রান তখন ৬২।
লিটনের সঙ্গে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জুটি হয় ৩১ রানের। মিঠুন ফেরার পর আউট হন শামসুর রহমানও। ততক্ষণে লিটন ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৩৫ বলে।
সেখান থেকে দারুণ জুটি গড়ে চট্টগ্রামকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন ও লিটন। তাদের জুটি পঞ্চাশ পার হয় ৩৫ বলে।
শেষ দুই ওভারে রাজশাহীর বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান মোসাদ্দেক ও লিটন। এবাদত হোসেনের করা ১৯তম ওভারে আসে ২১ রান।২০তম ওভারে মোসাদ্দেক ৪২ রানে আউট হলেও, রান আসে ১৪ রান। তাতেই তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৬। যা এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ।
রাজশাহীর হয়ে তিনটি উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। একটি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা ও আনিসুল ইমন।
জবাবে দ্রুত শুরু করে রাজশাহীও। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইমন ৫০ তোলেন পাঁচ ওভার শেষ হওয়ার আগেই।কিন্তু মুস্তাফিজের বলে শান্ত বিদায় নেয়ার পর ধীর হয়ে আসে রানের গতি, বাড়তে থাকে আস্কিং রেট।
৩৪ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি ও মোহাম্মদ আশরাফুল ফিরে গেলে, আবারও পিছিয়ে পড়তে থাকে রাজশাহী। জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায়, পাঁচ ওভারে ৫৮।
পরের ১১ বলে ২৩ রান নিলেও, মেহেদি হাসান ও ফজলে মাহমুদ দুজনই ফিরে যান টানা দুই বলে।শেষ দুই ওভারে যখন চাই ২৭, ১৯তম ওভারে শরিফুলকে এক চার ও এক ছয় মেরে রাজশাহীকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ফরহাদ রেজা।
কিন্তু সেই ওভারেই বিদায় নেন রেজা। এরপর শেষ ওভারের সেই নাটক, যাতে জয়ী দলের নাম চট্টগ্রাম।
এই জয় দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের নিজেদের শীর্ষস্থান শক্ত করল চট্টগ্রাম। আর চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রাজশাহী।