হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বেক্সিমকো ঢাকা। টানা তৃতীয় ম্যাচেও হারল তারা। প্রথম ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি যেতে পারে মুশফিকুর রহিমের দল। পরের দুই ম্যাচে জোটে লজ্জাজনক হার। প্রথমে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে নয় উইকেটে। সোমবার জেমকন খুলনার কাছে তারা হারল ৩৭ রানে।
হারের জন্য নিজেদেরকেই দোষ দিতে হচ্ছে ঢাকার। একাধিক ক্যাচের সঙ্গে তারা মিস করেছেন রান আউটের সুযোগ। তাতেই ১৪৬ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা। জবাবে ঢাকা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৯ রানে।
আগে ব্যাট করতে নেমে আবারও শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। চতুর্থ ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়েন ফিরে যান দুই ওপেনার সাকিব আল হাসান ও এনামুল হক। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই তাদের সাথে যোগ দেন জহুরুল ইসলাম।
সেখান থেকে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। ২৯ রানে ইমরুল ফিরে গেলেও মাহমুদুল্লাহ ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
শেষদিকে আরিফুল হকের ১১ বলে ১৯ ও শুভাগত হোমের পাঁচ বলে ১৫ রানের ১৪৬-এ শেষ করে খুলনা।
রুবেল হোসেন তিন উইকেট নিলেও, ঢাকার সেরা বোলার ছিলেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনার মাত্র এক উইকেট নেন। কিন্তু চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১০। নবাগত শফিকুল ইসলাম দুটি ও নাঈম হাসান একটি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে পাঁচ ওভারের মধ্যে ১৫ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। বিশেষত সাকিবের বল খেলতে রীতিমত বিপদে পড়ছিলেন তারা। দুই ওভার শেষে সাকিবের বোলিং ফিগার ছিল ৪-২-০-১!
সেখান থেকে ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক মুশফিক। গড়েন ৫৭ রানের জুটি।
কিন্তু পেসার হাসান মাহমুদের বলে ইয়াসির বোল্ড হয়ে ফেরত গেলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং। শুভাগতকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ৩৭ রানে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মুশফিক।
শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। মেনে নিতে হয় ৩৭ রানের পরাজয়।
খুলনার হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন শুভাগত ও শহিদুল ইসলাম। দুটি উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। সাকিব একটি উইকেট শিকার করলেও চার ওভারে রান দেন মাত্র আট।