শেষ পাঁচ ওভারে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৫০। ক্রিজে তখনও আফিফ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের হিসেবে, মোটেও কঠিন ম্যাচ নয়। সব হিসাব ওলট-পালট করে দেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। প্রথমে মুস্তাফিজ ফেরান ইরফানকে। পরের ওভারে আফিফের স্টাম্প উড়িয়ে তাকে প্যাভিলিয়নে পাঠান শরিফুল।
শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে ফেরানোর পরই কার্যত ম্যাচ শেষ। বাকিটা শুধুই নিয়মরক্ষা। চট্টগ্রামের বেঁধে দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল আটকে যায় ১০ রান দূরে। টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় জয় পায় চট্টগ্রাম।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি চট্টগ্রাম। তারা নামে চোট পাওয়া মুমিনুল হককে ছাড়া। এর উপর প্রথম দুই ম্যাচ রান পাওয়া সৌম্য সরকার ফিরে যান দ্রুত।
লিটন দাসের ৩৫ এবং শামসুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যামিওতে বিপর্যয় না হলেও, রান বড় হচ্ছিল না চট্টগ্রামের।
সেটি হলো সৈকত আলির শেষদিকের ঝড়ে। ১১ বলে ২৭ করে চট্টগ্রামের ১৫১ রানের লড়াকু পুঁজি নিশ্চিত করেন তিনি।
জবাবে শুরুতে থেকেই রান করতে সমস্যায় পড়ে চট্টগ্রাম। টানা তৃতীয় ম্যাচে অল্প রানে ফিরে যান ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক তামিম ইকবালের ছোট জুটিতে ম্যাচে ছিল বরিশাল। কিন্তু ১২ বলের ব্যবধানে ইমন ও তামিম দুজনই আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা।
আফিফ ও তৌহিদ হৃদয়ের জুটি আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দেয়া শুরু করেন। সৌম্যের এসে ভাঙেন এই জুটি। মুস্তাফিজ-শরিফুলের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে দ্রুতই ফিরে যান আফিফ-শুক্কুর-মাহিদুল, বরিশালকে থামতে হয় ১৪১ রানে।
চট্টগ্রামের হয়ে ম্যাচের নায়ক ছিলেন মুস্তাফিজ ও শরিফুল। দুজনই শিকার করেন তিনটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সৌম্য ও মোসাদ্দেক।
টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচে বরিশাল জিতেছে মাত্র একটিতে।