প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও তৃতীয় ম্যাচে সেই ভাগ্য হলো না মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর। ফরচুন বরিশালের কাছে হার মানতে হলো পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের অপরাজিত ফিফটিতে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বরিশাল পেলো তাদের প্রথম জয়। প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহীর দেয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্যে এক ওভার হাতে রেখেই জয় পায় বরিশাল।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কিছুটা ধীর হলেও, রাজশাহীর জন্য ছিল ইতিবাচক।
কিন্তু পাওয়ার-প্লের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। পাওয়ার-প্লের পর প্রথম বলেই আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া।
১১ ওভারের ভেতর পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
৬৫ রানের জুটি গড়ে তাদের খাদের কিনারা থেকে রক্ষা করেন ফজলে মাহমুদ এবং টুর্নামেন্টে রাজশাহীর ত্রানকর্তা মেহেদি হাসান।
কিন্তু দুজনই অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে গেলে ভালো সংগ্রহের আশা মিলিয়ে যায় রাজশাহীর।
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন মেহেদি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ ফজলের। সুমন খান ছাড়া বরিশালের সব বোলারই রান আটকানোয় দারুণ কাজ করেছেন।
কামরুল ইসলাম রাব্বি চার উইকেট তুলে নেন ২১ রান দিয়ে। মেহেদি হাসান মিরাজ ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট ও তাসকিন আহমেদ ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন এক উইকেট।
জবাবে শুরুতে ওপেনার মিরাজকে হারিয়ে ফেলে বরিশাল। কিন্তু অধিনায়ক তামিম প্রথমে পারভেজ হোসেন ইমনের সাথে ৬১ রানের ও তৌহিদ হৃদয়ের সাথে ৪৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিয়ে আসেন বরিশালের নাগালে।
কিন্তু বরিশাল দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফিরে আসে রাজশাহী। তবে শেষ পর্যন্ত তামিম ক্রিজে থেকে নিশ্চিত করেন যেন জয় নিয়েই ফেরে বরিশাল।
রাজশাহী দুষতে পারে তাদের ফিল্ডিংকেও। একাধিক ক্যাচ ছেড়েছে তাদের ফিল্ডাররা। সঙ্গে মিসফিল্ডিংয়েও এসেছে রান। এমনকি বরিশালের জয়সূচক রান আস ওভার থ্রোয়ে!
এই জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে পয়েন্টের খাতা খুললো বরিশাল। অন্যদিকে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহী।