প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে পাত্তাই দেয়নি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। হারিয়েছিল নয় উইকেটে। একই ঘটনা ঘটল জেমকন খুলনার বিপক্ষেও। প্রথমে খুলনাকে ৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে লিটন দাসের ফিফটিতে নয় উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
মুস্তাফিজুর রহমান পাঁচ রানে চার উইকেটে খুলনা করতে পারে মাত্র ৮৬। দুই অংকের রান করেন খুলনার মাত্র চার জন ব্যাটসম্যান।
জবাবে লিটন ও সৌম্য সরকারের ৭৩ রানের ওপেনিং জুটি চট্টগ্রামকে নিয়ে যায় জয়ের প্রান্তরে। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শিকার হয়ে সৌম্য যখন ফিরছেন, জয় তখন তাদের থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে।
সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে ফেরেন লিটন। নিজের ফিফটি তুলে নেন ৪২ বলে, সেই ফিফটিতে ছিল নয়টি চারের মার। ৮৯ রানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছে যায় ৩৮ বল হাতে রেখেই।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। চমক দেখিয়ে খুলনা এনামুল হক বিজয়ের সাথে ইনিংস সূচনা করতে পাঠায় সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনো। দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে বিজয়কে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় প্রথম ওভারেই।
পঞ্চম ওভারে নাহিদুল ইসলাম একসাথে তুলে নেন সাকিব ও খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উইকেট। যতক্ষণে দশ ওভার শেষ হয়, ততক্ষণে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে খুলনা।
আগের দুই ম্যাচে টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার পর দলের হাল ধরেছিলেন শামিম পাটোয়ারি এবং আরিফুল হক। কিন্তু এই ম্যাচে ব্যর্থ হন দুজনই। মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে দুজন ফিরে যাওয়ায় খুলনা গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৬ রানে।
চট্টগ্রামের সেরা বোলার ছিলেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসার ৩.৫ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ও তাইজুল ইসলাম।