ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৬ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথের শতকে ৩৭৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও শিখর ধাওয়ানের ফিফটিতে আশার আলো দেখলেও শেষ পর্যন্ত ভারত করতে পারে ৩০৮। ম্যাচসেরা হন স্মিথ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ।
ওপেনিং জুটিতে ১৫৬ রান যোগ করেন তারা। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হন ওয়ার্নার। ৬৯ রানে তার উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি।
সঙ্গী হারালেও স্মিথকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। গড়েন আরও একটি শতরানের জুটি।
১১৭ বলে ফিঞ্চ তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭তম ওডিআই ফিফটি।
১২৪ বলে ১১৪ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা।
অধিনায়কের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়া স্মিথ পূর্ণ করেন ফিফটি। টু-ডাউনে নামা মার্কাস স্টয়নিসকে প্রথম বলে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় ভারত।
স্টয়নিসকে শূন্য রানে আউট করেন ইউজভেন্দ্র চেহেল।
তবে, ডেথ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মারমুখী হয়ে উঠলে বড় সংগ্রহের দিকে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করে শামির বলে ৪৫ তম ওভারে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
তার পরের ওভারেই নাভদিপ সাইনি দুই রানে ফেরান মারনাস ল্যাবুশেনকে।
শেষ চার ওভারে একাই অস্ট্রেলিয়ার রান বাড়িয়ে নেন স্মিথ। ৬২ বলে পূর্ণ করেন দশম ওডিআই সেঞ্চুরি।
৬৫ বলে ১০৫ রান করে শামির বলে বোল্ড হন তিনি। ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ৩৭৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল। অ্যালেক্স ক্যারি অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৭ রান করে। এক বলে এক রানে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স।
ভারতের সব বোলারই খরুচে ছিলেন। শামি ছিলেন সবচেয়ে সফল সফরকারীদের পক্ষে। ৫৯ রানে তিন উইকেট নেন এই পেসার।
জবাবে দারুণ শুরু করে ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও ধাওয়ান ৩২ বলের ওপেনিং জুটিতে তুলে নেন ৫৩ রান।কিন্তু জশ হেইজলউড টানা তিন উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
আগারওয়াল, ভারত অধিনায়ক ভিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ারকে পাওয়ার-প্লের মধ্যেই ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই পেসার।দলগত রান একশ পেরোনোর পরপরই অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে ফিরে যান কেএল রাহুলও।
তবে সেখান থেকে দারুণ জুটি গড়ে ভারতকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ধাওয়ান ও হার্দিক। দুজনের ১২৮ রানের জুটিতে পাল্টা-আক্রমণে আস্কিং রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগুচ্ছিলো ভারত।
কিন্তু বাধ সাধেন জ্যাম্পা। অল্প সময়ের ভেতর প্রথম ধাওয়ানকে ৭৪ ও পরে হার্দিককে ৯০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন এই লেগ স্পিনার।
এরপরের ব্যাটসম্যানরা স্রেফ ব্যবধান কমানোর কাজটা করেন। শেষ পর্যন্ত ভারত ৫০ ওভারে করে আট উইকেটে ৩০৮।
জ্যাম্পা তুলে নেন চার উইকেট। হেইজেলউডের তিনটির সঙ্গে একটি উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক।