প্রথম ম্যাচটা বেক্সিমকো ঢাকা হেরেছিলো শেষ ওভারে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সৌভাগ্যটাও হয় না। বরং গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে রীতিমত উড়ে গেলো তারা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে এরপর মিললো নয় উইকেটে হার।
টসে জিতে চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন জানান, রান তাড়া করবেন। সেই তাড়ায় লক্ষ্যটা ছোট রাখার কাজটা দারুণ করলেন তার বোলাররা, সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরাও।
দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়, এরপর সাব্বির রহমান ফিরলেন দশ বল খরচ করে রানের খাতা না খুলেই। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ভাগ্যেও জোটে শূন্য। নাহিদুল ইসলামকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্রথম বলেই স্লিপে সৌম্য সরকারকে দিয়ে বসেন ক্যাচ।
একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন নাইম শেখ। চোখ-ধাঁধানো সব শটে নিমেষেই এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পৌঁছে যান ৪০-এ। কিন্তু একই ওভারে তাকে এবং আকবর আলির স্টাম্প ভেঙে মোসাদ্দেক হোসেন ঢাকার মেরুদণ্ড ভেঙে দেন।
এরপর বাকিটা সময় স্রেফ সম্মান বাচানোর চেষ্টা। তবে সেটি আর হয় না। একটু সময় নিলেও চট্টগ্রামের বোলাররা ঢাকার লেজ ছেটে দেন ৮৮ রানেই।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ও সৌম্য সরকার।
৮৯ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ভার ব্যাটিংয়ে মেতে ওঠেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য। নাসুম আহমেদের করা দশম ওভারে লিটন যখন ৩৪ রানে ফেরেন। ততক্ষণে জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে চট্টগ্রাম।
লিটন ফেরার পর চট্টগ্রাম জিততে সময় নেয় মাত্র সাত বল। শাহাদাত হোসেন দীপুকে মিড অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মমিনুল। সৌম্য অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। নয় উইকেটে চট্টগ্রাম জেতে ৫৫ বল হাতে রেখে।