একই ইনিংসে মুদ্রার দুটো পিঠই যেন দেখল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ঝলক যেমন দেখিয়েছে তারা, তেমনি দেখা গেছে তাদের লাইনআপের ভঙুর দশা।
শুরুটা তারা করে দারুণ। পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে আসে ৪৭। এরপর চার ওভারে চার উইকেট হারানোর পর মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ৪৯ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো জুটি। তাদের বিদায়ের পরই শেষ দুই ওভারে আসে মাত্র ১২।
শেষ পর্যন্ত মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী তাদের ইনিংসে শেষ করে নয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মেহেদি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ সোহানের।
ঢাকার সেরা বোলার ছিলেন মুক্তার আলি। চার ওভারে মাত ২২ রান দিয়ে উইকেট তুলে নেন তিনটি।একটি করে উইকেট পান নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান ও মেহেদি হাসান রানা। ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়ে নাঈম ও নাসুম করেছেন সাধারণ মানের বোলিং।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় রাজশাহী। পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে শুধুমাত্র অধিনায়ক শান্তর উইকেট হারিয়ে তারা বোর্ডে তোলে ৪৭।
কিন্তু পরের চার ওভারেই ছন্দপতন। ২০ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। নিজের ফেরার মঞ্চে নয় বলে পাঁচ রান করে পয়েন্টে নাইম শেখের দারুণ ক্যাচ হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ আশরাফুল।আনিসুল হক ইমনের দলে জায়গা পাওয়াটাই ছিল বিস্ময়। নাঈম হাসানের বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ২৩ বলে ৩৫।
ষষ্ঠ উইকেটে রীতিমত ঝড় তোলেন মেহেদি ও সোহান। জুটির পঞ্চাশ তুলতে তারা সময় নেন মাত্র ২৭ বল।
৩১ বলে নিজের ও টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলে নেন মেহেদি। কিন্তু পরের বলেই ম্যাচজুড়ে দারুণ বোলিং করা মুক্তারের বলে, মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান সোহান। তিনি করেন ২০ বলে ৩৯।
ফিফটি ছোঁয়ার পর খেলা নিজের প্রথম বলে ফেরেন মেহেদিও। মেহেদি হাসান রানার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ারে ধরা পড়েন মুক্তারের হাতে।
সোহান, মেহেদির বিদায়ের পর ইনিংস বড় করতে পারেনি রাজশাহী। শেষ দুই ওভারে মাত্র ১২ রান তোলে তারা। শেষ বলে ফরহাদ রেজার ছয়ের কল্যাণে ১৬৯ রানে পৌছায় রাজশাহী।