বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ: ফেভারিট খুলনা, আন্ডারডগ রাজশাহী

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:১৬

পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে খেলছেন দেশের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার। সবচেয়ে বড় অনুপস্থিতি অবশ্যই মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। যিনি ছিটকে গেছেন হ্যামস্ট্রিং এর চোটে।

সব ঠিক থাকলে হয়তো এ সময় মাঠে থাকত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় আসর। করোনাভাইরাসের প্রকোপে সেই উপায় না থাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে খেলছেন দেশের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার। সবচেয়ে বড় অনুপস্থিতি অবশ্যই মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। যিনি ছিটকে গেছেন হ্যামস্ট্রিং এর চোটে।

টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসান। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

তাকে দলে ভিড়িয়েছে জেমকন খুলনা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও খেলছেন একই দলে।

পাঁচ দলের মধ্যে শুধু মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী নেয়নি কোন এ-গ্রেডের খেলোয়াড়। ড্রাফটে তারা প্রথম নেয় অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে। সুযোগ পেয়েও মাহমুদুল্লাহকে না নেয়ার পেছনে তাদের যুক্তি ছিল সে সময়ে করোনাক্রান্ত ছিলেন তিনি।

তাদের জন্য দুর্ভাগ্য, সাইফুদ্দিন কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন টুর্নামেন্টের আগেই।

মঙ্গলবার পর্দা উঠছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের। প্রথম দিনে হবে দুটি ম্যাচ। প্রথমটিতে লড়বে ঢাকা ও রাজশাহী, দ্বিতীয়টিতে খুলনা ও বরিশাল।

কাগজে-কলমে ফেভারিট খুলনা

একই সঙ্গে তারা পেয়েছে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। অন্য যেকোনো দলে যেখানে সর্বোচ্চ একজন এ-গ্রেডের খেলোয়াড়, মিজানুর রহমান বাবুল তার কোচিংয়ে পাচ্ছেন দুজনকে।

সাকিব-মাহমুদুল্লাহর পাশাপাশি খুলনায় আছেন ইমরুল কায়েস, আনামুল হক বিজয়, আল-আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপুরা।

কাগজে-কলমে সেরা দল হলেও খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ মনো্যোগ রাখছেন মাঠের পারফরমেন্সেই। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফেভারিট তকমার প্রতিফলন দেখাতে হবে মাঠে।

‘কাগজে-কলমে হয়তো দলকে অনেক শক্তিশালী মনে হচ্ছে। তবে সবসময়ই একটা কথা বিশ্বাস করি যে মাঠের পারফরম্যান্সটাই মুখ্য। আপনি যত বড়, যত ভালো ক্রিকেটারই হন; দিনশেষে মাঠে এটা প্রমাণ করতে হবে। ঐ রেপুটেশন যারা বহন করি, তাদের সবসময়ই প্রমাণের তাগিদ থাকে। সেটা প্রমাণের লক্ষ্যেই আমরা নামব’, বলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

খুলনার হয়ে ইনিংস ওপেন করতে পারেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল বিজয়। তিন নম্বরে সাকিবের পর আছেন জহিরুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটওয়ারি ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। লোয়ার অর্ডারে আরিফুল হক কিংবা শুভাগত হোমের সঙ্গে থাকছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তিন পেসার মন্ত্রে খুলনার হয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে আল-আমিন, হাসান মাহমুদ ও শফিউল ইসলামকে।

ঢাকায় তারুণ্যের জয়গান

অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে দলে টানলেও পারলেও বেক্সিমকো ঢাকার রয়েছে অভিজ্ঞতার ঘাটতি। তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলি, নাইম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দীপু, পিনাক ঘোষদের মত তরুণদের নিয়ে দল সাজিয়েছে তারা।

অনভিজ্ঞতাকে অনেকেই সমস্যা মনে করলেও তেমনটা মনে হচ্ছে না অধিনায়ক মুশফিকের। তার মতে, বয়সে ছোট হলেও, তার দলের তরুণ খেলোয়াড়রা অত্যন্ত পরিণত।

‘অবশ্যই টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞতা কাজে লাগে। একই সঙ্গে দুইটা বা তিনটা প্লেয়ার ভালো খেললে ওই দিন আপনি জিতে যেতে পারবেন। অনভিজ্ঞ বা তরুণ হতে পারে কিন্তু তারা অনেক পরিণত। শেষ ১৫-১৬ বছর খেলেছি একটা বিশ্বকাপও জিততে পারিনি। দলে তেমন তিন-চারজন প্লেয়ার আছে ওই (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী) টিমের। বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে তো বড় চাপের কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি ওই রকম মেন্টালিটির বা ম্যাচিউরড প্লেয়ার আছে’, বলেন মুশফিক।

ঢাকার হয়ে টপ অর্ডারে আছেন নাইম শেখ ও তানজিদ তামিম। মাঝে খেলছেন শাহাদাত, মুশফিক, ইয়াসির আলি চৌধুরী ও সাব্বির রহমান। লোয়ার অর্ডারে মুক্তার আলি, নাঈম হাসানের সঙ্গে থাকবার সম্ভাবনা নাসুম আহমেদ, রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার রনি।

এক্স-ফ্যাক্টর চট্টগ্রাম

ঢাকার মতো অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও প্রতিভার বিচারে নিশ্চিতভাবে টুর্নামেন্টের সেরা দলগুলোর একটি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।

তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দলে আছেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, মমিনুল হকরা। সাথে আছেন তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, শরিফুল ইসলাম। কোচ অভিজ্ঞ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মিঠুন। বিপিএলে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক হোসেন বা বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক কেন দায়িত্ব পাননি, সে প্রসঙ্গ জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।

তবে এটি নিশ্চিত, মুস্তাফিজ-সৌম্য-লিটনরা জ্বলে উঠলে চট্টগ্রাম টুর্নামেন্টে যেতে পারবে বহুদূর। প্রেসিডেন্টস কাপে ভালো করতে না পারলেও তাই এই টুর্নামেন্টে ভালো করার লক্ষ্য সৌম্যের।

'যে কোনো টুর্নামেন্টেই তো একটা লক্ষ্য থাকে। আমার নিজেরও একটা লক্ষ্য আছে। তো চেষ্টা করব যে ওই লক্ষ্য পূর্ণ করার। দলও অনেক ভালো হয়েছে', বলেন সৌম্য।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই করোনা থাবা বসিয়েছে চট্টগ্রাম ক্যাম্পে। করোনাক্রান্ত হয়ে ছিটকে গেছেন তরুণ তুর্কি মাহমুদুল হাসান জয়।

চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংসের শুরুতে আসতে পারেন লিটন-সৌম্যের ওপর। এরপর মমিনুল, মিথুন, মোসাদ্দেক, শামসুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। বোলিংয়ে আছেন তাইজুল, মুস্তাফিজ, সঞ্জিত সাহা ও শরিফুল।

বহু বছর পর বরিশাল

প্রায় বছর পাঁচেক ধরে দেশের ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নেই বরিশাল। সেই ধারা ভাঙলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। ফরচুন বরিশাল নাম নিয়ে ফিরল তারা।

ড্রাফটে প্রথম ডাকেই তারা দলে নেয় জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। এরপর একে একে নিয়ে টানে আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, ইরফান শুক্কুরদের।

ড্রাফটে খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুল থাকলেও তামিমের বিশ্বাস দলের সব খেলোয়াড়ই ম্যাচ জেতানোর মত।

'দলে হয়তো নামি-দামি ওরকম খেলোয়াড় নেই। সবাই যদি কাগজে কলমে শক্তিশালী হয়ে ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট জিততো তাহলে অন্য কথা ছিল। যে প্লেয়ারগুলো আছে আমার, তারা সবাই যোগ্য। তারা কোনো না কোনো জায়গায় নিজেকে প্রমাণ করেছে। এটাই আশা করবো যে মঙ্গলবারের ম্যাচ ভালভাবে শুরু করব। কারণ, এক থেকে এগারো সবাই ম্যাচ জেতাতে সক্ষম', বলেন তামিম।

বরিশালের হয়ে তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন সাইফ হাসান বা পারভেজ ইমন। মিডল অর্ডারে আসছেন আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বোলিং আক্রমণে সুমন খান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বির।

শুরুর আগে বেসামাল রাজশাহী

এ-গ্রেডের কোন খেলোয়াড়কে ছাড়াই দল সাজিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। চোটের কারণে তারা পাচ্ছে না সাইফুদ্দিনকে।

পায়ের চোটে ছিটকে যাওয়া সাইফুদ্দিন নিশ্চিতভাবে খেলছেন না রাজশাহীর প্রথম তিন ম্যাচ। চোটের মেয়াদ বাড়লে মিস করতে পারেন পুরো টুর্নামেন্ট।

সাইফুদ্দিনকে হারালেও দলের কম্বিনেশন নিয়ে খুশি অধিনায়ক শান্ত।

'তরুণ ক্রিকেটারও অনেক আছে (আমাদের দলে)। চারদিকে চিন্তা করলে কম্বিনেশন ভালো। খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিয়মিত পারফর্ম করা। অধিনায়কত্ব একটা আলাদা অংশ। ওটা যতটুকু পালন করার করব', বলেন রাজশাহীর অধিনায়ক।

রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে আসছেন অধিনায়ক শান্ত সঙ্গে রনি তালুকদার। এরপর একে একে মোহাম্মদ আশরাফুল, মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, ফজলে মাহমুদ, জাকের আলি অনিক ও ফরহাদ রেজা।

বোলিংয়ে আছেন এবাদত হোসেন, সানজামুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

এ বিভাগের আরো খবর