বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু হবে নভেম্বরের শেষে। পাঁচ দলের নাম ও স্পন্সর ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার প্লেয়ারস ড্রাফটের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয় পাঁচ দলের স্কোয়াডও।
সেখানে বেক্সিমকো ঢাকা এ গ্রেডের খেলোয়াড় হিসেবে নিয়েছে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। তবে সব মিলিয়ে ঢাকার দলে তারুণ্যের জয়জয়কার। বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছেন তারা। নাইম শেখ, নাঈম হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলি, শাহাদাত হোসেন দীপু, মেহেদি হাসান রানা, পিনাক ঘোষদের মত তরুণদের দলে নিয়েছে তারা।
বেক্সিমকো ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন অবশ্য ভরসা রাখছেন এই তরুণদের ওপরই। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় খুব বেশি না পেলেও দল নিয়ে খুশি তিনি।
‘বেশ কিছু অভিজ্ঞ প্লেয়ার আমরা মিস করেছি। তরুণদের উপরই নির্ভর করতে হবে, ওরাও ভালো ক্রিকেটার। মাঠে আমাদের প্রয়োগটা যদি ভালো হয়, প্ল্যান করে খেলতে পারি সুযোগ আসবে। বলবনা যে টুর্নামেন্টের সেরা দল, কাগজে কলমে সেটা বলতে পারবোনা। তবে আমি দল নিয়ে খুশি তরুণ যারা আছে তারা সবাই এক্সাইটিং ক্রিকেটার’, বলেন সুজন।
তরুণদের জন্যও এই টুর্নামেন্টটি নিজেদের প্রমাণের বড় সুযোগ বলে মনে করছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘তরুণদের জন্য ভালো সুযোগ। জায়গামত ব্যাট করতে পারবে, বিশেষ করে যারা ৪-৫ নম্বরে ব্যাত করে ম্যাচ ফিনিশ করবে এই ফরম্যাটে, দেখা যাবে তারা কি করে। সুতরাং তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যেতে হবে। তাদের জন্য বড় সুযোগ যে বিদেশি ক্রিকেটার নেই। নিজেদের প্রমাণ করার যে আমরাই আমাদের অবস্থান তৈরি করে নিব।’
‘বোলারদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে নতুন বল তারা কীভাবে ব্যবহার করবে, ডেথ ওভারে, মাঝখানে তারা কীভাবে বল করবে এসব জিনিস শিখবে এখান থেকে। আমি বলছি যে একদিনে তো শেখা যাবেনা কিন্তু আমরা যদি এরকম লোকাল টুর্নামেন্ট নিয়মিত করি তাহলে আমাদের প্লেয়ারদের জন্য বড় ব্যাপার হবে। এই ফরম্যাটেও ভালো কিছু প্লেয়ার তৈরি করতে পারবো ইন শা আল্লাহ’, যোগ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।