সামনের টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফটের খেলোয়াড় তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মোট ১৯৩ জন খেলোয়াড় সেখানে থাকলেও নেই মাশরাফি মোর্ত্তজা।
মাশরাফির না থাকাটা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল। সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেননি প্রেসিডেন্টস কাপে। তবে ফেরার জন্য পাখির চোখ করেছিলেন এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে।
কিন্তু অনুশীলনে হ্যামস্ট্রিং এ চোট পাওয়ায় আপাতত মাঠের বাইরে এই পেসার। তার সুস্থ হবার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ডিসেম্বরের শুরুতে। যদি তিনি সেই সময়ে ফিট হন এবং টুর্নামেন্টের কোন দল তাকে চায়, তবে খেলতে পারবেন মাশরাফি। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
‘মাশরাফির ব্যাপারে একটা কনসার্ন আছে। ওর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি আছে। আশা করছি ডিসেম্বরের ফার্স্ট উইকের মধ্যে ও এভেইলেবল হবে। তখন যেকোন দল চাইলে ওকে দেওয়া যাবে। এবং আমি আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ও খেলার মধ্যে ফিরে আসবে। একের বেশি কোন দল যদি ওকে চায় সেক্ষেত্রে লটারি করে দেওয়া হবে এবং যদি একটা দলই চায় তাহলে সরাসরি সেই দলে খেলতে পারবে’, বলেন প্রধান নির্বাচক।
ড্রাফটে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে ১৯৩ জন খেলোয়াড়। এ গ্রেডে আছেন পাঁচ জন - সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা করে।
করোনাক্রান্ত হওয়ায় মাহমুদুল্লাহ এর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে খেলা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে তিনি সময় পাচ্ছেন যথাসময়ে সুস্থ হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য।
বি গ্রেডে আছেন ২১ জন খেলোয়াড়। তাদের মূল্য ১০ লাখ টাকা করে। সি গ্রেডে থাকা ২৩ জন ক্রিকেটারের মূল্য ছয় লাখ টাকা করে এবং ডি গ্রেডে থাকা ১০৮ জন ক্রিকেটারের মূল্য চার লাখ টাকা করে।
টুর্নামেন্টের পাঁচ দলের নাম ও স্পন্সর ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে বিসিবি। পাঁচটি দল হলো - ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী, জেমকম খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।