শেষ পর্যন্ত জোড় বছরে শিরোপার দেখা পেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও নিজেদের পঞ্চম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শিরোপা জিতে নিলো মুম্বাই।
দিল্লির শিরোপা স্বপ্ন থেকে গেলো অধরাই। প্রথমবার ফাইনালে উঠেও হারতে হলো টুর্নামেন্টের সেরা দলের কাছে। আরেকবার ফসকে গেলো শিরোপা।
লিগ পর্ব মুম্বাই শেষ করেছিলো শীর্ষে থেকে। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য চ্যাম্পিয়ন হবার চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে!
ফাইনালের আগের এবারের আসরের তিন দেখায় তিনবারই মুম্বাইয়ের কাছে পরাজয় বরণ করেছিলো দিল্লি। সেই ধারা ভাঙার পণ করলেও, শেষ পর্যন্ত ভাগ্যে জুটল টুর্নামেন্টে মুম্বাইয়ের কাছে চতুর্থ হার।
টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ট্রেন্ট বোল্ট প্রথম বলেই মার্কাস স্টোয়নিসকে ফিরিয়ে দেন। পাওয়ারপ্লে শেষ হতে হতে ফিরে যান আজিঙ্কা রাহানে ও শিখর ধাওয়ানও।
তবে সেখান থেকে হাল ধরেন অধিনায়ক আইয়ার ও ঋষভ পন্ত। ৯৬ রানের জুটিতে বিপদ সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বড় সংগ্রহের দিকে।
কিন্তু পঞ্চাশ পেরোনোর পর ফিরে যান পন্ত। থমকে যায় রানের চাকাও। অধিনায়ক আইয়ার ফিফটি তুলে নিলেও শেষ পাঁচ ওভারে দিল্লি তুলতে পারে মাত্র ৩৮। শেষ পর্যন্ত তাই সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬।
দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৫ করেন আইয়ার। মুম্বাইয়ের হয়ে তিনটি উইকেট নেন বোল্ট।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে নেমে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক যেন ট্রেন ধরার তাড়ায় দিল্লির বোলারদের ওপর চালান তাণ্ডব। প্রথম চার ওভারে তারা তুলে নেন ৪৫।
সূর্যকুমার যাদব এবং ইশান কিশানকে নিয়ে আরও দুটি জুটি গড়ে দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান রোহিত। আনরিখ নরকিয়ার বলে ফিরে যাবার আগে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন ৬৮। দল তখন জয় থেকে মাত্র ২০ রান দূরে।
সেখান থেকে কোন ভুল করেননি ইশান। ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৯তম ওভারে নরকিয়ার বলে নিয়ে নেন সিঙ্গেল। শিরোপা হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। তাদের পঞ্চম, টানা দ্বিতীয়।