শেষবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পা রেখেছিলেন ২০১৯ সালের ২৯শে অক্টোবরে। এরপর একে একে কেটে গেছে ৩৭৬ দিন।
অপেক্ষার প্রহর শেষে চেনা আঙিনায় ফিরলেন সাকিব আল হাসান। যে ‘হোম অফ ক্রিকেট’ এ সাকিবের নামে গর্জন উঠতো গ্যালারিতে, সেখানে তিনি ফিরলেন ক্রিকেট খেলার আগে ফিটনেস টেস্টে উৎরাতে।
শেষবার মিরপুরে এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ শোনাতে। নিষেধাজ্ঞার এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার সুযোগ ছিলো না সাকিবের। মিরপুরে আসাও ছিলো বারণ।
এক বছরের বড় অংশই সাকিব কাটিয়েছেন পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝখানে শ্রীলংকা সফরের জন্য প্রস্তুত হতে চার সপ্তাহ নিজের আঁতুড়ঘর বিকেএসপিতে অনুশীলন করেন। হাতের তালুর মতো পরিচিত মিরপুর তখনও নিষিদ্ধ তার জন্য।
সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ২৯ অক্টোবর। সাকিব দেশে ফেরেন পাঁচ নভেম্বর দিবাগত রাতে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আগে সাকিবের ফিটনেস পরীক্ষার তারিখ বিসিবি ঠিক করে সোমবার।
সাকিব মাঠে আসেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
ফিটনেস পরীক্ষার জন্য বেঁধে দেওয়া সময় ছিলো সকাল দশটা। সাকিব এলেন ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় আগে। এসেই ড্রেসিং রুমে পেয়ে গেলেন বন্ধু মুশফিকুর রহিমকে। তার সাথে জমিয়ে আড্ডার পর যান মিরপুর ইনডোরে।
সেখানে ফিটনেস টেস্ট না দিয়েই বেরিয়ে যান সাকিব। তিনি বিপ টেস্ট দেবেন বুধবার, ১২ নভেম্বরে। সাকিবের বিপ টেস্ট বুধবারে দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবির ফিটনেস ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
প্রিয় মাঠে ক্যামেরার জন্যে পোজ দিতে মানা করেননি সাকিব। ছবি: বিসিবি
সাকিব এরপর যান বিসিবির জিমে। সেখানে প্রায় ঘন্টাখানেক কাটিয়ে আবার ফেরেন ড্রেসিং রুমের দিকে। কিছুক্ষণ পর আসেন মাঠে। সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান। ক্যামেরার সামনে বিভিন্ন রকমের পোজ দিতেও আপত্তি করলেন না সাকিব।
মুস্তাফিজের সঙ্গে মাঠে কিছু সময় কাটিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান সাকিব। সেখান থেকে পথ ধরেন বাড়ির।