করোনাকালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেনটিন না মেনে জনসমাগমে এসে সমালোচনার মুখে সাকিব আল হাসান।
তবে চিকিৎসা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো আইনের লঙ্ঘন হয়নি। কারণ, তিনি করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে এসেছেন। এ কারণে তাকে ঘরে থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
ফলে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে সুপার শপ উদ্বোধন করায় কোনো আইনি জটিলতায় পড়তে যাচ্ছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
করোনাকালে বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৪ দিন ঘরে থাকার আহ্বান আছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এটি সবার জন্য বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন অফিসের পরিচালক এ এইচ এম মইনুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, 'বিদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসার পর ব্যক্তিগত আইসোলেশন বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। এটা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়।
‘যেহেতু এই বিষয়ে আইন নেই তাই উনি (সাকিব) আইন ভঙ্গ করেছেন কি না সেটি অপ্রাসঙ্গিক।’আইসিসির নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সাকিবের দেশে ফেরা টাইগার ক্রিকেটের জন্য একটি স্বস্তিকর খবর। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিসিবির ‘টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ’ অংশ নেবেন তিনি। এটি দেশে ক্রিকেটে ফেরাতে বিসিবির প্রস্তুতিমূলক দ্বিতীয় আয়োজন।
তবে বিদেশ থেকে দেশে এসে ‘১৪ দিনের আইসোলেশন’ সাকিব এমনিতে মানতে পারতেন না। কারণ, ৯ নভেম্বর বিসিবিতে সাকিবকে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে। আর এ জন্য টাইগার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখ শনিবার করোনা পরীক্ষাও করিয়েছেন।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফলাফল এখনও আমাদের হাতে আসেনি। পরে আসবে।’
নিষেধাজ্ঞার এক বছর সাকিবল বলতে গেলে পুরোটাই স্ত্রী-কন্যার সান্নিধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি করোনার আঘাতে জর্জরিত হলেও তারা সবাই নিরাপদেই ছিলেন। মাঝে গত সেপ্টেম্বরে একবার দেশে ফেরেন সাকিব। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ঝালাই করে নেন অনুশীলন করে।
সে বারের মতো এবারও দেশে ফেরার আগে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন সাকিব। সেখানে তার ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার তথ্য মেলেনি। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই নিজ ভূমে এসেছেন তিনি।