রাওয়ালপিন্ডিতে মাঠে নামার আগেই, প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশের। সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে তাদের সেই লক্ষ্য পূর্ণ হতে দেয়নি জিম্বাবুয়ে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয়ের সুযোগ ছিলো জিম্বাবুয়ের সামনে। ব্রেন্ডন টেইলরের দারুণ শতকের পরও হারতে হয় তাদের।
তৃতীয় ম্যাচে একই ভুল করেনি তারা। প্রথমে ব্যাট করে শন উইলিয়ামসের শতকে তারা সংগ্রহ করে ২৭৮। জবাবে প্রথমে খেই হারালেও অধিনায়ক বাবর আজমের শতকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলো পাকিস্তান।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। বাবরকে আউট করবার পর সমীকরণ ছিল, এক বলে পাঁচ রান। শেষ বলে চিসোরোর মিসফিল্ডিং এর সুযোগে চার মেরে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান মোহাম্মদ মুসা। তাতে শেষরক্ষা হয়নি স্বাগতিক দলের।
সুপার ওভারে মাত্র চার বল টেকে পাকিস্তান। দুই রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। জিম্বাবুয়ের হয়ে টেইলর এবং সিকান্দার রাজা কোন ভুল করেননি। তিন বলে পাঁচ রান তুলে নিয়ে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম জয় তুলে নেয় তারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট হারালেও, উইলিয়ামসের শতক, টেইলরের ফিফটি এবং রাজার ৪৫ রানে ২৭৮ জমা করে জিম্বাবুয়ে।
২৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তিন অংকে পৌছুনোর আগেই পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান। খুশদিল শাহ ও ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে জুটি গড়ে বাবর তাদের নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়াহাব ও বাবরকে আউট করে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ১৩। এনগারাভার শেষ ওভারে মুসা দুটি চার হাঁকালেও পাকিস্তান নিতে পারে মাত্র ১২।
সেখান থেকে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় জিম্বাবুয়ে। এই জয়ের পরও জিম্বাবুয়ে সিরিজ হারল ২-১ ব্যবধানে।