ভক্তরা তাকে ডাকে ‘ইউনিভার্স বস’। অনেকের কাছেই তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শেষ কথা। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের ব্র্যাডম্যানও তাকে বলেন অনেকেই।
কেনো, সেই প্রশ্নের জবাবেই যেন একের পর এক রেকর্ড ভাঙেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে। রেকর্ডের তালিকায় সবশেষ সংযোজন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০০ ছয়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালস বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচে গেইল ব্যাট করতে নামেন তিন নম্বরে। ছয়ের সংখ্যায় চার অংক ছুঁতে তার তখনও প্রয়োজন সাতটি ছয়।
৬৩ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে গেইল ছয় মারেন আটটি। তাতেই এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান হয়ে যান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাজার ছয় হাঁকানো প্রথম ক্রিকেটার।
এক হাজারতম ছয়টি মারেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারার পর তার ছয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজারে। শেষ ওভারে জফ্রা আর্চারকে আরেক ছয় মেরে সেটিকে নিয়ে যান ১০০১ এ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড দীর্ঘদিন তার দখলে। দুই নম্বরে আছেন জাতীয় দলের সতীর্থ কাইরন পোলার্ড। পোলার্ড এখনও পিছিয়ে ৩০০ এর বেশি ছয়ে।
আইপিএল এর শুরুতে পাঞ্জাব একাদশে জায়গা হয়নি গেইলের। জায়গা পাওয়ার পর ছয় ম্যাচে করেছেন তিন ফিফটি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গেইলের নামের পাশে ছিল ৯৭৮ ছয়। ছয় ম্যাচে ২৩ ছয় মেরেছেন, যা এবারের মৌসুমে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ২৫টি ছয় মেরেছেন নিকোলাস পুরান। তবে তিনি খেলেছেন ১৩ ম্যাচ।