প্রেসিডেন্টস কাপে খেলার কথা ছিল না সুমন খানের। তিন দলের কোনোটিতে সরাসরি সুযোগ পাননি। ছিলেন নাজমুল একাদশের স্ট্যান্ডবাই হয়ে। পেসার হাসান মাহমুদের ইনজুরিতে দরজা খুলে যায় মানিকগঞ্জের এই পেসারের। সুযোগ পান মাহমুদুল্লাহ একাদশে। সেই সুযোগেই বাজিমাত করেন তিনি।
টুর্নামেন্টে সুমন খেলেন তিনটি ম্যাচ তুলে নেন নয় উইকেট। আসল ঝলক দেখান ফাইনালে। পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে একাই ধসিয়ে দেন নাজমুল একাদশকে। ম্যাচসেরা হয়ে নিশ্চিত করেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের শিরোপা।
ফাইনালের পর সুমনের অবসর মিলেছে সামান্যই। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার একদিন পরই তাকে যোগ দিতে হয়েছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পে। সেখানে দিনের অনুশীলন শেষে টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট সুমন নিউজবাংলাকে বলেন সাফল্যের সঙ্গে এখন বেড়েছে দায়িত্বও।
‘আসলে বলতে গেলে টুর্নামেন্টটা অনেক ভালো কেটেছে। একটা সুযোগ ছিল নিজের সেরাটা দেওয়ার। চেষ্টা করেছি ভালো করার। অনুভূতিটাও অসম্ভব ভালো। সবার প্রত্যাশা বেড়ে গেছে এখন। আমার দায়িত্বও বেড়ে গেল। পারফর্ম করাতে সবাই হয়তো ভাবছে সামনে আরও ভালো করলে সুযোগ আসবে। নিজের উপরও দায়িত্ব এসেছে যে এখন ভালো করছি সামনে আরও ভালো করার। এই ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখতে পারি সেই চেষ্টায় আছি,’ বলেন সুমন।
জাতীয় দলের কোন বয়সভিত্তিক পর্যায়ে না খেলা সুমনের মতে এইচপি ক্যাম্পটি তার জন্য বড় সুযোগ উন্নতি করার। তিনি বলেন, ‘এইচপি একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে আমি এখানে এসেছি কোনো বয়সভিত্তিক পর্যায়ে না খেলেই। নিজের স্কিল ও ফিটনেস উন্নতি করার জন্য এসেছি। সেক্ষেত্রে বলব এইচপি একটা ভালো জায়গা নিজেকে প্রস্তুত করার।'
সুমনের বোলিংয়ে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। সুমন নিজে জানান অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং ফাইনালে আউট করা মুশফিকুর রহিমের প্রশংসা পেয়ে ভালো লেগেছে তার।
‘রিয়াদ ভাই সব সময় প্রশংসা করেছেন। ম্যাচ শেষে ভালো করার পর রিয়াদ ভাই এসে বলল যে ভালো লাইন লেন্থে বল হচ্ছে। এটা দরকার ছিল। উনি আমাকে অ্যাপ্রেশিয়েট করলেন। বললেন ওয়েল ডান। ম্যাচ শেষে মুশফিক ভাইয়ের সাথে যখন হ্যান্ডশেক করছিলাম তখন মুশফিক ভাইও বলল যে খুব ভালো বল হয়েছে। দরকার ছিল এটা তোমার জন্য। বড় ভাইদের কাছ থেকে যখন এরকম কিছু পাওয়া হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই নিজের কাছে ভালো লাগে। আসলে এটা মাত্র শুরু। এখন বড় ভাইরা যত প্রশংসা করবে সামনে দিকে তত ভালো কাজ হবে,’ জানান সুমন।
প্রেসিডেন্টস কাপের ১৫ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আপাতত ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি থাকছেন এইচপির ক্যাম্পেই।