বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাকিব ফেরেন বিশেষভাবেই

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৩১

ফুরাচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৮ অক্টোবর। সাকিবের ফিরে আসা উপলক্ষে নিউজবাংলার বিশেষ এই আয়োজন। আজ থাকছে আগের দুইবারের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসা সাকিবের পারফরম্যানসের দিকে এক নজর।

সাকিবের জন্য চলমান নিষেধাজ্ঞাই প্রথম নয়। অপরাধ ও সাজার দিক থেকে সবচেয়ে বড়। এর আগে সাকিব দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২০১৪ সালে।

প্রথমবার শ্রীলংকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টিভি ক্যামেরায় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করায় তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় দেশসেরা অলরাউন্ডারকে।

একই বছরে দ্বিতীয় বার সাকিব নিষিদ্ধ হন এনওসি ছাড়াই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়া এবং তৎকালীন বাংলাদেশ হেড কোচ চণ্ডিকা হাতুড়ুসিংহের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের কারণে। সেবার সাজার মেয়াদ ছিল ছয় মাস। পরে সেটি কমিয়ে আনা হয়েছিল তিন মাসে।   আরও পড়ুন: সাকিবকে ছাড়া বিবর্ণ বাংলাদেশ

প্রথম ফেরায় সাকিব ঝড়

সাকিব নিষিদ্ধ থাকাবস্থায় টানা তিন ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। সবশেষ হার ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব ফেরেন; নিষিদ্ধ হওয়ার ঝাল ঝাড়েন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর।

এশিয়া কাপে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরি এবং ইমরুল কায়েস ও মমিনুল হকের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়ার পথেই ছিল বাংলাদেশ। ৪৫তম ওভারে মমিনুল যখন ফিরে যান, বাংলাদেশের রান তখন ২৪৯, বল বাকি ৩৪টি।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে সাকিব প্রথম বলেই মারলেন চার। শেষ ৩৪ বলের মধ্যে সাকিব খেলেন ১৬ বল। রান করেন ৪৪। মারেন ছয়টি চার ও দুটি ছয়। ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটি করে ফেলবেন, এমন সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

সাকিব তাণ্ডবে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩২৯। তখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।

আফ্রিদি ঝড়ে সে ম্যাচ পাকিস্তান জিতে গেলেও বল হাতে সাকিব আউট করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে। সরাসরি থ্রোয়ে আউট করেন আফ্রিদিকে। বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনেন ম্যাচে। শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতেই।

অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন

সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে দুটিতেই হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনা হয় তিন মাসে। সাকিব ফেরেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে।

ফিরেই প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ধসিয়ে দেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটিং অর্ডার। চতুর্থ ইনিংসে ১০১ রান তাড়া করতে নেমে সেই ম্যাচ জিতিয়ে ফেরান মুশফিকুর রহিম। প্রাথমিক বিপর্যয়টা মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে সামাল দিয়েছিলেন সাকিবই।

দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পর দুই ইনিংসেই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ঢুকে যান তিন জনের এক এলিট ক্লাবে।

সাকিবের আগে শুধু ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানই এক ম্যাচে একই সঙ্গে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। একবিংশ শতাব্দীতে এই কীর্তি গড়া প্রথম ক্রিকেটার বনে যান সাকিব।

সিরিজের শেষ ম্যাচে বল হাতে তেমন কিছু আর করেননি সাকিব। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ফিফটি। সাকিব সিরিজ শেষ করেন ২৫১ রান ও ১৮ উইকেট নিয়ে।

ওয়ানডে সিরিজেও বাকি ছিল সাকিবের ভেলকি। প্রথম ম্যাচে ৭০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে উদ্ধার করেন সেঞ্চুরি করে। বোলিংয়ে নেন চার উইকেট। ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে শেষ করেন। ব্যাট হাতে করেন ১৪২ রান।

মঞ্চ ছাড়াই ফিরছেন সাকিব

আগের দুই বার সাকিব ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়েই। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সেই সুযোগ নেই। প্রেসিডেন্টস কাপের পর নভেম্বরে আসছে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, সাকিব ফিরবেন সেই টুর্নামেন্ট দিয়েই।

সব ঠিক থাকলে প্রত্যাবর্তনের পর সাকিব প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলবেন জানুয়ারিতে, যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে বাংলাদেশ সফরে। আগের দুই বারের মতো প্রবল বিক্রমেই ফিরবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাব তোলা থাক ভবিষ্যতের জন্য।

এ বিভাগের আরো খবর