রোববার শেষ হওয়া প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশে ক্রিকেট ফিরলেও তাতে অংশ নেননি বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা। নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি লিগে তার খেলা কথা। সেটার প্রস্তুতি শুরু করার আগেই ১৮ অক্টোবর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। চোটের তিনদিন পর (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী তাকে স্ক্যান করাতে বলেন।
চোটের অবস্থা পর্যালোচনার জন্যে স্ক্যান গুরুত্বপূর্ণ হলেও মাশরাফি সেটি এখনও করাননি। সোমবার দেবাশীষ নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‘আমার ধারণা স্ক্যান করেনি। করলে তো আমরা জানতাম। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। স্ক্যান দেখার আগে তো আসলে মন্তব্য করা যায় না। ওর সাথে যা কথা হয়েছে ফোনে হয়েছে। ওকে ফিজিক্যালি পরীক্ষা করতে পারিনি। স্ক্যান করলে সুবিধা হয়। আমরা বুঝতে পারি কতদিন সময় লাগতে পারে,’ জানান দেবাশীষ।
১০ অক্টোবর করোনাক্রান্ত হন মাশরাফির মেয়ে হোমায়রা। তার এক সপ্তাহ পর আক্রান্ত হন ছেলে সাহেল। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের ধারণা সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ততার কারণেই স্ক্যান করাতে পারেননি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
‘ও খুব সম্ভবত বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত আছে। সব মিলিয়ে ফিজিক্যালি যোগাযোগ করাটা কঠিন,’ যোগ করেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
করোনায় প্রথমে মাশরাফি নিজে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তার স্ত্রী, ছোট ভাই ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আক্রান্ত হন। কিছুদিন পর আক্রান্ত হন তার বাবা-মাও।
মার্চে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন মাশরাফি। চোট থেকে দ্রুত সেরে উঠলে খেলতে পারবেন বিসিবির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।