বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা মাহমুদুল্লাহর দলের

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ২০:২৪

সাত উইকেট ও ১২২ বল অক্ষত রেখে নাজমুল একাদশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: নাজমুল একাদশ ১৭৩, ৪৭.১ ওভার (ইরফান ৭৫, শান্ত ৩২, তৌহিদ ২৬, সুমন ৫/৩৮, রুবেল ২/২৭, এবাদত ১/১৮); মাহমুদুল্লাহ একাদশ ১৭৭/৩, ২৯.৪ ওভার (লিটন ৬৮, ইমরুল ৫৩, মাহমুদুল্লাহ ২৩, নাসুম ২/৪৮, আল-আমিন ১/৩২)

টুর্নামেন্ট জুড়ে যে ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারা চলে এসেছে তা বজায় থাকল ফাইনালের প্রথম ইনিংসেও। পেসার সুমন খানের বোলিং তোপে আগে ব্যাট করতে নামা নাজমুল একাদশ গুটিয়ে যায় ১৭৩ রানে। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে পা হড়কায়নি মাহমুদুল্লাহ একাদশ। লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে তুলে নিয়েছে সাত উইকেটের সহজ জয় ও প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা। 

লিগ পর্বে টানা দুইবার নাজমুলের দলের কাছে হেরে যায় মাহমুদুল্লাহর দল। সেটারই প্রতিশোধ নিল তারা হেসেখেলে ফাইনাল জিতে। ১২২ বল অক্ষত রেখেই ফাইনাল জিতেছে দলটি। 

প্রেসিডেন্টস কাপের দল ঘোষণার পর সুমন খান সুযোগ পাননি প্রথমে। ছিলেন নাজমুল একাদশের স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। মাহমুদুল্লাহ একাদশের হাসান মাহমুদ চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় তাদের স্কোয়াডে সুযোগ পান সুমন। তার পাঁচ উইকেটের স্পেলই শিরোপা তুলে দেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে। 

১৭৪ তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই কভার দিয়ে চার মেরে লিটন বুঝিয়ে দেন ছন্দে আছেন তিনি। মুমিনুল হকের দ্রুত ফিরে যাওয়ার প্রভাব ইনিংসে পড়তে দেয়নি লিটনের ব্যাটিং।  

লিটন প্রথমে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে। জয়ের বিদায়ের পর ইমরুলের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটিতে নিশ্চিত হয় ম্যাচ ভাগ্য। ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেয়া লিটন নাসুম আহমেদের বলে আউট হন ৬৮ রান করে।  

লিটন আউট হবার পর রান প্রয়োজন ছিল ৪৫। ইমরুল-মাহমুদুল্লাহ এর জুটি সেই রান নিয়ে নেন ২১ বলে। নাঈম হাসানকে টানা দুই ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করেন ইমরুল। সঙ্গে তুলে নেন টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি। ফিফটির পথে ছয়টি ছয় হাকান ইমরুল সঙ্গে একটি চার। 

এর আগে দুপুরে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে নাজমুল একাদশ। প্রথম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে নিজের স্টাম্প খুইয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান। সঙ্গে সৌম্য সরকার চোখে সমস্যার কারণে ফিরে যান রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। 

প্রাথমিক বিপর্যয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে সামাল দিলেও, সুমন খানের এক দারুণ স্পেলে একে একে ফিরে যান মুশফিক, সৌম্য ও আফিফ। নাজমুলের বিদায়ের পর হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়।তাদের ৭০ রানের জুটিতে সম্মানজনক সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিল নাজমুলের দল। তৌহিদের বিদায়ের পর ইরফান একা টানতে পারেননি বেশি দূর। নিজে ৭৫ করলেও দল শেষ হয় ১৭৩ রানে। 

সুমনের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি দু’টি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন, একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ। 

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সুমন খান। ম্যাচের সেরা বোলারও তিনি। সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন ইরফান শুক্কুর। সেরা ফিল্ডার নুরুল হাসান সোহান। 

এ বিভাগের আরো খবর