পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে চলেছে ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রদর্শনী। সেটা বদলায়নি ফাইনালেও। সুমন খানের পাঁচ উইকেটের বদৌলতে ফাইনালের প্রথম ইনিংসে নাজমুল একাদশ গুটিয়ে গেল ১৭৩ রানে। চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য মাহমুদুল্লাহ একাদশের চাই ১৭৪।
নাজমুল একাদশের হয়ে ৭৫ রান করেন ইরফান শুক্কুর। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় করেন ৩২ ও ২৬।
সুমন খানের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি মাহমুদুল্লাহ একাদশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় নাজমুল একাদশ। প্রথম ওভারে ফিরে যান ওপেনার সাইফ হাসান। চোখের সমস্যার জন্য কিছুক্ষণ পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান সৌম্য সরকার।
প্রাথমিক বিপর্যয় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে এড়ালেও, জুটি লম্বা হতে দেননি পেসার সুমন। দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে মুশফিককে পরাস্ত করে ফেরান সুমন। ক্রিজে ফেরা সৌম্যকেও পরিণত করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে। গ্লাভস হাতে তুখোড় সোহান দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে সুমনের তৃতীয় শিকার বানান আফিফ হোসেনকে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরে যান শূন্য রানে।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যর্থ শান্ত এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। ২২তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অনে মাহমুদুল হাসান জয়ের কাছে।
শেষদিকে ৭০ রানের এক জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন ইরফান ও তৌহিদ। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মনোযোগী ইরফান ৪৭ বলে তুলে নেন নিজের ফিফটি, পাঁচ চার ও দুই ছয়ের বদৌলতে।
তাদের এই জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। তার বলে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তৌহিদ। ফিরে যান ২৬ রানে।
ফিফটি ছোঁয়ার পর ৫৪ রানে পয়েন্টে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইরফান। সাব্বির সেই সুযোগ নিতে পারেননি। টেইল এন্ডারদের আসা-যাওয়ার মাঝে ইরফান দলকে নিয়ে যান ১৭০-এ। তারপর ৭৫ রানে আউট হন তিনি।
রুবেল হোসেনের বলে স্কুপ খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজের স্টাম্প হারান ইরফান। পরের ওভারেই এবাদতের বলে তাসকিন আউট হলে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ।