বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে সফল ছিলেন পেসাররা। ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পাশাপাশি নজরে এসেছে রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও আল আমিন হোসেনের বোলিং। স্পিন বান্ধব মিরপুরের উইকেটে পেস বোলারদের সাফল্য উপভোগ করছেন তাসকিন ও রুবেল।
পেসারদের ভালো করা জাতীয় দলের জন্য শুভ লক্ষণ মনে করেন রুবেল। শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় রুবেল জানান পেসারদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা তিনি উপভোগ করছেন। রুবেল বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হওয়া ভালো। এটি বাংলাদেশ দলের জন্য খুব ভালো। কারণ যদি প্রতিদ্বন্দিতা থাকে তবে একজন পেসার প্রতিদিনই আরও ভাল করার চেষ্টা করবেন। তার পারফরম্যান্স এবং সবকিছু ভিন্ন ধরনের হবে। আমিও এটি অনেক উপভোগ করি, প্রতিদ্বন্দিতা পছন্দ করি।’
আরেক পেসার তাসকিন মনে করেন পেসারদের সাফল্যের মূল রহস্য কন্ডিশন থেকে সুবিধা আদায় ও পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারা। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিদ্বন্দিতা হয়েছে, তবে বোলাররা এখান থেকে বেশ সহায়তা পেয়েছে। বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানরা কঠিন পরীক্ষা ফেলেছে তারা। বিশেষভাবে নতুন বলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে।’
সতীর্থদের পারফর্মেনসের পাশাপাশি নিজের ফর্ম নিয়েও সন্তুষ্ট তাসকিন। বলেন, ‘টুর্নামেন্টে সব পেসার ভালো করেছে। প্রত্যেকেই মিতব্যয়ী ছিলেন। নতুন-পুরাতন বলে উইকেট শিকার করতে পেরেছেন। যদি নিজেকে মূল্যায়ন করতে চাই, তবে আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি।’
রুবেল অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন করোনার সময়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করাকে। তার মতে সেই পরিশ্রমেরই সুফল পাচ্ছেন পেসাররা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি খুবই ভালো লক্ষণ। কারণ প্রত্যেক পেস বোলার এবং সব ক্রিকেটার করোনার মধ্যে নিজেকে নিয়ে কাজ করেছে। পেস বোলাররা এখন ভালো ফল পাচ্ছেন।’