লেগ স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাহাকার কম নয়। বহু বছর ধরেই খোঁজা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের লেগ ব্রেক বোলার। মাঝখানে জুবায়ের হোসেন আশা দেখালেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি।
তারপরও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রেসিডেন্টস কাপের তিন দলেই রাখা হয় এক জন করে লেগ স্পিনার। নাজমুল একাদশে সু্যোগ পান রিশাদ হোসেন। মাহমুদুল্লাহ একাদশে খেলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তামিম একাদশে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি।
টুর্নামেন্টের আগে লেগ স্পিনারদের দিয়ে পাঁচ ওভার বোলিং করাতে হবে এমন নিয়মের কথা শোনা গেলেও, সেই নিয়ম দেখা যায়নি টুর্নামেন্টে। ইনজুরির কারণে মাত্র একটী ম্যাচ খেলতে পেরেছেন আফ্রিদি। বিপ্লব খেলেছেন দুটি।
রিশাদ হোসেন খেলেছেন তার দলের হয়ে সবগুলো ম্যাচে। এক ম্যাচে হয়েছেন ম্যাচের সেরা বোলারও।
টুর্নামেন্টে নিজের পারফরম্যান্সের জন্য হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর প্রশংসা পেয়েছেন রিশাদ। সাউথ আফ্রিকান ট্যাকটিশিয়ানের মতে রিশাদের কাছে দ্রুত কিছু প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না।
‘রিশাদ সবগুলো ম্যাচেই চমৎকার বোলিং করেছে। কয়েকটি বাজে বল ছিলো কিন্তু সে এখনও তরুণ। সে অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং সে অবশ্যই এমন কেউ যাকে আমরা (জাতীয় দলে) আমাদের কাছাকাছি রাখতে চাইবো,’ বলেন ডমিঙ্গো।
সঙ্গে যোগ করেন, রিশাদকে খেলাতে হবে কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বুঝে, সাথে ধৈর্য ধরতে হবে এই তরুণ লেগ স্পিনারকেও। ডমিঙ্গো বলেন, ’রিশাদকে নিয়ে ধৈর্যশীল হতে হবে। লেগস্পিন খুবই কঠিন একটি শিল্প। দুই-এক বছরের ভেতর সেটি পুরোপুরি শেখা যায় না। রিশাদকে তার জন্য সঠিক কন্ডিশনে সঠিক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলাতে হবে। আপনি যদি একজন লেগস্পিনারকে বেশি তাড়াতাড়ি খেলান এবং সে একজন ভালো ব্যাটসম্যানের সামনে খারাপ করে, সেটা তার আত্মবিশ্বাসে অনেক বড় আঘাত করতে পারে। আমার মনে হয় তার ক্যারিয়ারের ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে এখনও তরুণ, তাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তার কিছু জিনিস নিয়ে কাজ করতে হবে। সে তার প্রতিভা দেখিয়েছে এবং সে একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হতে পারবে।’
প্রেসিডেন্টস কাপে চার ম্যাচে চার উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৪.২১।