সাত মাস পর প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ক্রিকেট ফিরলেও সেরা ছন্দে ফেরেননি ব্যাটসম্যানরা। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই দেখা গেছে তাদের ব্যর্থতা। কয়েক জন বাদে নিয়মিত রান করেননি কেউই।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য এই নিয়ে চিন্তিত নন। তার মতে, করোনা বিরতির পর দশ দিনের পারফরমেন্স দিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিচার করা উচিত নয়।
বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, '‘মনে রাখতে হবে এরা সাত মাস ক্রিকেট খেলেনি। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ছাড়া এটি অনেক লম্বা সময়। কোন সন্দেহ নেই যে তারা উন্নতি করবে এবং দল হিসেবে খেলবে। তারা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে এটি বলা ঠিক না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তারা মাঠে সময় কাটাচ্ছে। আমি পারফরমেন্স নিয়ে চিন্তিত নই।'
ডমিঙ্গো এই টুর্নামেন্টকে দেখছেন অনুশীলনের অংশ হিসেবেই। টুর্নামেন্টে জয়ের চেয়ে তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
ব্যাটসম্যানদের ঢাল হয়ে থাকার পাশাপাশি বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন এই সাউথ আফ্রিকান। তাসকিন-রুবেলদের ফিটনেসের প্রশংসা করে ডমিঙ্গো বলেন, বাংলাদেশের কাছে এখন লড়াই করার মত একটি ফাস্ট বোলিং ইউনিট রয়েছে।
‘গত ৭-৮ মাসে আমরা চাচ্ছিলাম কিছু ভালো মানের তরুণ ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে। এখন ফাস্ট বোলারদের লড়াই করার মত একটি গ্রুপ তৈরি করছি। তাসকিন, মুস্তাফিজ, আল-আমিন, হাসান মাহমুদ, খালেদ, শরিফুলদের মতো ৬-৭ জন ফাস্ট বোলার আছে যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারবে। গত দুই সপ্তাহে বেশ ভালো বোলিং হয়েছে (এই টুর্নামেন্টে)’ বলেন সাবেক এই প্রোটিয়া কোচ।
তাসকিন-রুবেরলদের ফিটনেস নিয়ে খুশি ডমিঙ্গো। ছবি: বিসিবি
তিনি যোগ করেন, ‘এখানে আসার পর থেকেই আমি বলে আসছিলাম যে পেসার গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পেসারদের সুযোগ দিতে হবে। যা দেখেছি (এই টুর্নামেন্টে) তা নিয়ে আমি খুবই উৎসাহিত। যদি এই টুর্নামেন্ট থেকে কোনো ভালো দিক বেছে নেই তাহলে সেটি হবে পেসারদের পারফরমেন্স।’
প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালের আগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি রুবেল হোসেন। ১১ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন এই পেসার।