অবশেষে উত্তেজনা দেখল প্রেসিডেন্টস কাপ। লিগ পর্বের শেষদিন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তামিম একাদশকে সাত রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নাজমুল একাদশ। শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ মাহমুদুল্লাহ একাদশকে।
ফাইনালে উঠতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না তামিমের দলের। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের পাঁচ উইকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ইনিংসে নাজমুলদের ১৬৫ রানেই আটকে দেয় তারা। ডার্কওয়ার্থ-লুইস (ডি/এল) পদ্ধতিতে তামিম একাদশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪। অধিনায়ক তামিমের ফিফটিতে সহজ জয়ের পথেই এগুচ্ছিল তারা।
তামিম আউট হবার পরই খেই হারিয়ে ফেলে তার দল। কমে আসে রানের গতি। নিয়মিত আউট হন ব্যাটসম্যানরা। তাতে আস্কিং রেট বাড়তে বাড়তে এক সময় চলে যায় নাগালের বাইরে।
শেষ ওভারে তামিম একাদশের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। সৌম্য সরকারের সেই ওভারে দুই উইকেট হারানোর আগে তারা রান নিতে পারে মাত্র ৭।
এই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠেছে নাজমুল একাদশ। তাদের প্রতিপক্ষ চার ম্যাচে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করা মাহমুদুল্লাহ একাদশ। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট পাওয়া তামিম একাদশকে বিদায় নিতে হচ্ছে লিগ পর্ব থেকেই।
চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ উইকেট নিয়ে সাইফুদ্দিন হন ম্যাচের সেরা বোলার। সেরা ফিল্ডার হয়েছেন তামিম। সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে নাজমুল একাদশ। পাওয়ার প্লে শেষ হবার আগেই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। আফিফ হোসেন ও মুশফিক রহিমের ব্যাটে বিপদ সামলায় তারা।
মাঝে বৃষ্টিতে দুই ঘন্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল খেলা। তাতে ম্যাচ নেমে আসে ৪১ ওভারে।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর শরিফুলের দারুণ ক্যাচ হয়ে বিদায় নেন মুশফিক। আফিফ আউট হন মেহেদি হাসানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। এরপর শুরু হয় ব্যাটিং ধ্বস। ১২৯/৫ থেকে নাজমুল একাদশ গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে।
প্রথম বোলার হিসেবে টুর্নামেন্টে পাঁচ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন। তিনটি ও দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান।
বৃষ্টি আইনে তামিম একাদশের জন্য সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪।