তামিম একাদশের জন্য ম্যাচটি শেষ সুযোগ। জিতলে ফাইনালে অথবা বিদায় লিগ পর্ব থেকেই। ফাইনাল থেকে ১৬৪ রান দূরে তামিমের দল। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে নাজমুল একাদশকে ১৬৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা।
বৃষ্টি আইনে তামিমের দলের টার্গেট দাঁড়িয়েছে ১৬৪। ৪১ ওভার পাচ্ছে তারা এই রান তাড়া করতে।
নাজমুল একাদশের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট তুলে নেন সাইফুদ্দিন। শিকার করেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন ও আল-আমিন হোসেনের উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আবারও খেই হারায় নাজমুল একাদশ। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও পারভেজ হোসেন ইমন বিদায় নেন দ্রুত। বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও।
সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন। প্রাথমিক বিপর্যয় তারা সামাল দেবার পরই নেমে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় দুই ঘন্টারও বেশি সময়। কাটা পড়ে প্রতি ইনিংসের নয় ওভার।
বৃষ্টি বিরতির পর ৭৪ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটির পরপরই শরিফুল ইসলামের এক দারুণ ক্যাচে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় উইকেট হয়ে ফিরতে হয় এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। ভাঙে আফিফের সঙ্গে তার ৯০ রানের জুটি।
পার্টনারের বিদায়ের পর ফিরে যান আফিফও। মেহেদি হাসানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ৪০ রানে বোল্ড হন এই বাঁহাতি। দলের সংগ্রহ তখন ১২৯/৫।
এরপর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় নাজমুলের দল গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে।
সাইফুদ্দিনের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি তামিম একাদশের হয়ে তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুটি উইকেট পান মেহেদি হাসান।