করোনার মধ্যেই নিজেদের সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিয়ে উইমেন্স টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই তারকা জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন। তিন দলের এই টুর্নামেন্টে জাহানারা গত বছর অংশ নিলেও সালমার জন্য এটি প্রথম আসর। আগেরবারের মত এবারও ভেলোসিটি দলের হয়ে টুর্নামেন্ট খেলবেন জাহানারা। সালমাকে দলে নিয়েছে ট্রেইলব্লেজার্স।
প্রথমবারের মত ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত সালমা। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ভাল হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান তিনি।
‘আইপিএলকে সামনে রেখে প্রস্তুতি মোটামুটি ভাল হয়েছে। জিম, রানিং, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। ক্রিকেট বোর্ড আমাদের সুযোগ দিয়েছে ডে-নাইট অনুশীলন করার। মোটামুটি ভাল কাজে লেগেছে। প্রস্তুতি অনেক ভাল হয়েছে,’ সালমা বলেন।
টুর্নামেন্টে ভাল কিছু শেখার লক্ষ্য সালমার। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এত বড় একটা আসরে যাচ্ছি নিজের প্রত্যাশাটা অনেক ভাল করার যেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারি। ওখানে যাচ্ছি বাইরের অনেক প্লেয়ার থাকবে। বড় বড় প্লেয়ার তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে সেগুলো আমাদের দেশে অ্যাপ্লাই করার চেষ্টা করব।’
সালমার লক্ষ্য ঠিক থাকলেও, তেমন কিছু নেই জাহানারার। তার লক্ষ্য সব ম্যাচেই সেরাটা দেওয়ার।
‘নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। ভাল খেলতে হবে। দলের জন্য অবদান রাখতে হবে। তবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতে পারিনি। এই ধরণের পরিস্থিতিতে আবার পড়লে নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে চেষ্টা করব,’ বলেন জাহানারা।
এই টুর্নামেন্টে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এখানে খেলার সৌভাগ্য সবার হয় না। আমি অনেক ভাগ্যবান এ দিক থেকে। এ ধরণের প্ল্যাটফর্মে বিশ্বের সেরাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুযোগ হয়। তাদের সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুযোগ হয়। আমি আশা করি এই অভিজ্ঞতা ওখান থেকে অর্জন করে দেশে এসে আমার সতীর্থদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারবো। আমার বিশ্বাস এই টুর্নামেন্ট খেলার পর আমার ক্যারিয়ারে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাব।’
বুধবার আরব আমিরাত যাচ্ছেন দুই ক্রিকেটার। তিন দলের টুর্নামেন্টটি শুরু হবে চার নভেম্বর। প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে দু’টি করে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনাল খেলবে নয় নভেম্বর।